পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২২
বিদ্যাসাগর।

১৮৫০ খ্রীষ্টাব্দে তিনি পুনরায় সংস্কৃত কলেজের সংস্কৃত-সাহিত্যের অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং তাঁহার প্রস্তাবিত সংস্কারসম্বন্ধীয় একটি বিস্তৃত রিপোর্ট প্রকাশিত করেন। রসময় বাবু দেখিলেন, এক্ষণে তাঁহার পদত্যাগ করাই শ্রেয়স্কর। তখন সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদকের পদ এক হইয়া প্রিন্সিপাল পদের সৃষ্টি হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কৃত কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল নিযুক্ত হইলেন ও তাঁহাকে ইচ্ছামত সংস্কৃত শিক্ষা প্রাণী সংস্কার ক্ষমতা প্রদত্ত হইল।

 দেখিতে দেখিতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যশঃ চতুর্দ্দিকে বিস্তৃত হইয়া পড়িল। তখন তাঁহার বয়স ত্রিশ বৎসর মাত্র। তিনি বঙ্গদেশের সম্ভ্রান্ত জমীদারগণের দ্বারা বন্ধুরূপে পরিগণিত হইলেন। শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকগণ এই নূতন সহযোগীকে পাইয়া আনন্দসহকারে ইঁহার সংবর্দ্ধনা করিলেন। যে সকল সহৃদয় ইংরাজ ভারতের উন্নতিকল্পে ঐকান্তিক যত্ন চেষ্টা করিতেছিলেন, তাঁহারা একজন উপযুক্ত সাহায্যকারী পাইলেন। তিনি এ দেশে স্ত্রী শিক্ষা-প্রচলনে মন প্রাণ সমর্পণ করেন এবং এতদ্‌সম্বন্ধে মহানুভব বেথুন সাহেবকে অনেক সাহায্য করেন। বঙ্গের প্রথম ছোটলাট স্যার ফ্রেড্‌রিক হ্যালিডে সাহেব তাঁহার কার্য্যে সন্তুষ্ট কইয়া বেথুন সাহেবের মৃত্যুর পর বেথুন স্কুল নামক বালিকা-বিদ্যালয়ের ভার তাঁহার উপর অর্পণ করেন।

 ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে যখন এদেশে বাঙ্গালা ও ইংরাজি বিদ্যালয় সংস্থাপিত করা গবর্ণমেণ্টের অভিপ্রেত হয়, তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় এ সম্বন্ধে একটি রিপোর্ট লেখেন। এই রিপোর্ট পাঠে সন্তুষ্ট হইয়া কর্তৃপক্ষেরা তাঁহাকে ২০০৲ টাকা বেতনে হুগলি, বর্দ্ধমান,