পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৫০
বিদ্যাসাগর।

পরিতৃপ্ত না হইয়া সভাসদ পণ্ডিত তারকনাথ তত্ত্বরত্ন মহাশয়ের মুখে মূল মহাভারতের ব্যাখ্যা শ্রবণ করিতে থাকেন। এই ব্যাখ্যা শ্রবণ করিতে করিতে মহাভারতের বিশুদ্ধ বঙ্গানুবাদ প্রকাশের জন্য ইঁহার অত্যন্ত আগ্রহ জন্মে এবং ইনি বহু পণ্ডিত নিযুক্ত করিয়া সমগ্র মহাভারতের বঙ্গানুবাদ করাইয়া তাহা প্রকাশ করেন। ১৮০১ শকে ৫৯ বৎসর বয়সে ইঁহার পরলোক প্রাপ্তি হয়। ইঁহার রচিত বিবিধ বিষয়ক গান পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইয়াছে। রাজসরকারে ইঁহার প্রভূত প্রতিপত্তি ছিল। ইনি সম্মানসূচক “তোপ” পাইবার অধিকারী হইয়াছিলেন। ইনি ভিন্ন বর্ত্তমান সময়ে বঙ্গদেশীয় জমিদার শ্রেণীর মধ্যে কেহই এ সম্মান পান নাই। মহারাণী ভিক্টোরিয়ার “ভারতেশ্বরী” উপাধি গ্রহণ উপলক্ষে ইনি মহারাণীর এক শ্বেত প্রস্তরময়ী মূর্তি সাধারণকে প্রদান করেন। তখনকার বড়লাট লর্ড লিটন এই মূর্ত্তিটী মহাসমারোহে কলিকাতা যাদুঘরে স্থাপন করেন। এখনও ঐ মূর্ত্তি সেখানে রহিয়াছে।

মদনমোহন তর্কালঙ্কার।

 প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ও কবি। ১২২২ সালে নদীয়া জেলার অন্তঃপাতী বিল্বগ্রামে ইঁহার জন্ম হয়। ইঁহার পিতার নাম রামধন চট্টোপাধ্যায়। বাল্যে পাঠশালার শিক্ষা শেষ করিয়া ইনি সংস্কৃত কলেজে প্রবিষ্ট হন এবং তথায় ব্যাকরণ, সাহিত্য, দর্শন, স্মৃতিশাস্ত্র শিক্ষা করেন। কলেজে অধ্যয়ন কালে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত ইঁহার প্রগাঢ় বন্ধুত্ব হয়। ___ ই ইনি সংস্কৃত