পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৬৬৭

সহিত ইঁহার বিশেষ পরিচয় ছিল। পাঠ্যাবস্থায় ইনি মধ্যে মধ্যে কবিতা লিখিয়া প্রভাকর পত্রে প্রকাশ করেন। ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দে দীনবন্ধু “নীলদর্পণ” নাটক রচনা করেন। এই নাটক ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে লঙ সাহেব ইংরাজীতে অনুবাদ করায় দেশমধ্যে হুলস্থূল পড়িয়া যায়। ইহার জন্য লঙ সাহেবের কারাদণ্ড পর্য্যন্ত হয়। যাহা হউক, এই নীলদর্পণের ফলে চক্ষু সমধিক প্রস্ফুটিত হওয়ায় নীলকরদিগের অত্যাচার অনেক পরিমাণে কমিয়া যায়। অতঃপর দীনবন্ধু, “নবীন তপস্বিনী,” “সধবার একাদশী,” “লীলাবতী” “কমলে কামিনী” প্রভৃতি নাটক, “জামাই বারিক” প্রভৃতি প্রহসন এবং “দ্বাদশ-কবিতা” ও “সুরধুনী কাব্য” নামক পদ্যগ্রন্থ প্রণয়ন করেন। রাজকার্য্য উপলক্ষে ইনি নানাদেশ ভ্রমণ করিয়া সেই সেই দেশবাসিগণের ভাষা ও আচার ব্যবহার সম্বন্ধে যে অভিজ্ঞতা লাভ করেন, ইঁহার রচিত গ্রন্থসমূহে সেই অভিজ্ঞতা, ইনি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করিয়াছেন। ইঁহার নাট্যাদিতে সন্নিবেশিত অনেক ঘটনা ও চরিত্র প্রকৃতমূলক। হাস্যরসে দীনবন্ধুর সমকক্ষ বঙ্গভাষার,লেখকদিগের মধ্যে নাই বলিলেও হয়। ইনি “বঙ্গদর্শন” পত্রিকায় কয়েকটা কবিতা ও গল্প লিখিয়াছিলেন। ইঁহার পুত্রগণ সকলেই কৃতবিদ্য ও ভাল চাকুরী করেন।

রসিকচন্দ্র রায়।

 প্রসিদ্ধ পাঁচালিকার ও সঙ্গীত রচয়িতা। ১২২৭ সালে মাতুলালয় পালাড় গ্রামে ইনি জন্মগ্রহণ করেন। ইঁহার পিতার নাম