পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাল্য-প্রতিভা।
৪৩

কাল দৃষ্টে তাঁহার উত্তর’কাল তেমনই বোধগম্য হয় ওয়ার্ডসওয়ার্থ বলিয়াছেন,—

“Child is the father of man.”

 কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত যখন সাত-আট বৎসরের সময় কলিকাতায় আসেন, তখন এক জন তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,—“ঈশ্বর, কলিকাতায় কেমন আছ?” ভবিষ্যতের কবি উত্তর দিলেন,—

“রেতে মশা, দিনে মাছি।
এই নিযে কলকাতায় আছি।”

 বঙ্কিমচন্দ্র এক দিনে “ক, খ,” শিখিয়াছিলেন।

 জনসনের অন্যান্য গুণের মধ্যে ধারকতা-শক্তির প্রতিষ্ঠা সর্ব্বাপেক্ষা অধিক ছিল। যে সময়ে বালক জন্দন সবেমাত্র লেখা পড়া শিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, সেই সময়ে এক দিন তাহার মাতা তাঁহাকে একখনি প্রার্থনা-পুস্তক মুখস্থ করিতে দেন। মুখস্থ করিতে বলিয়া মাতা উপরে উঠিযা যান। পুত্র পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়া বলেন,—“মা, মুখস্থ করিয়াছি।” সত্য সত্যই বালক অনায়াসে সমস্ত মুখস্ত বলিয়া গিয়াছিলেন। তিনি দুই বার মাত্র পুস্তকখানি পড়িয়াছিলেন।

 পোপ ১২ বার বৎসর বয়সে কবিতা লিখিয়াছিলেন।[১] বাল্যকালে তিনি কবিতা লিখিতেন। তাহার পিতার কিন্তু তাহা অভিপ্রেত ছিল না। এই জন্য পিতা তাঁহাকে কবিতা লিখিতে নিষেধ করেন; পোপ কিন্তু তাহা শুনিতেন না। এক দিন তাঁহার পিতা এই জন্য তাঁহাকে প্রহার করেন। প্রহারের পরও বালক কবিতায় বলিয়া ফেলিল,—

  1. Ode on solitude.