পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৬৯১

এই যোগেন্দ্রমোহনের সাহায্যে ১২৩৭ সালে ঈশ্বরচন্দ্র “সংবাদ প্রভাকর” নামে একখানি সাপ্তাহিক সংবাদ পত্র প্রকাশ করেন। ১২৩৯ সালে যোগেন্দ্রমোহনের মৃত্যু হওয়ার সঙ্গে প্রভাকরও অদৃশ্য হয়। ঈশ্বরচন্দ্রের কবিত্ব ও রচনা শক্তি দেখিয়া আন্দুলের জমিদার জগন্নাথ প্রসাদ মল্লিক ঐ বৎসরেই “সংবাদ রত্নাবলী” প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন। ঈশ্বরচন্দ্র উক্ত পত্রিকায় লেখা বিষয়ে বিশেষ সাহায্য করিতেন।

 ইহার কিছুদিন পরে ঈশ্বরচন্দ্র তীর্থ পর্যটনে বহির্গত হন এবং শ্রীক্ষেত্রাদি দর্শন করিয়া ১২৪২ সালে কলিকতায় প্রত্যাবৃত্ত হন, এবং কানাইলাল ঠাকুরের সাহায্য “সংবাদ প্রভাকর” পত্রকে পুনরুজ্জীবিত করেন। ১২৪৫ সালে “সংবাদ প্রভাকর” দৈনিক আকার ধারণ করে। বাঙ্গালা দৈনিক সংবাদ পত্রের মধ্যে প্রভাকরই প্রথম। ইহার কিছু দিন পরে স্বনামপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হিন্দু বিধবার-বিবাহের বৈধতা প্রতিপন্ন করিবার নিমিত্ত পুস্তিকা প্রচার করেন। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত তাহার প্রতিবাদস্বরূপ ব্যঙ্গকবিতাসমূহ প্রভাকারে প্রকাশ করিয়া বিধবা-বিবাহ বিরোধীদিগের চিত্তরঞ্জন করেন। ১২৫৩ সালে ইনি “পাষণ্ডপীড়ন” নামে আর একখানি পত্র প্রকাশ করেন। এই সময়ে “ভাস্কর” সম্পাদক গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ (গুড়গুড়ে ভট্টাচার্য) “রসরাজ” নামে একখানি পত্র প্রকাশ করিয়া ঈশ্বরচন্দ্রের সহিত কবিতা যুদ্ধে প্রবৃত্ত হন। ঈশ্বরচন্দ্র ও 'পাষণ্ডপীড়ন' পত্রে গৌরীশঙ্করের কবিতাযর উত্তর দিতে লাগিলেন। কিছু দিন পরে দুইখানি পত্রই উঠিয়া যায়। তখন ঈশ্বরচন্দ্র ১২৫৪ সালে “সাধু রঞ্জন” নামে আর একখানি সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশ করেন। ইহাতে