পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০০
বিদ্যাসাগর !

ডিরোজিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করায় অনেক ছাত্রও বিদ্যালয় পরিত্যাগ করেন। তাঁহদের মধ্যে রামগোপাল একজন।

 কলেজ ত্যাগ করিয়া রামগোপাল ১৭ বৎসর বয়সে জোজেফ নামক জনৈক ইহুদী বণিকের আফিসে প্রবিষ্ট হন এবং সাতিশয় মনোযোগ সহকারে প্রভুর কার্ধ্য সম্পাদন করিতে থাকেন। কিন্তু এ সময়েও ইনি পাঠে বিরত হন নাই। অবসর কালে কাব্য, ইতিহাস এবং মনোবিজ্ঞান শাস্ত্রসমূহের আলোচনা দ্বারা সময় ক্ষেপণ করিতেন। এই সময়ে রসিককৃষ্ণ মল্লিকের বাগানে সাহিত্যালোচনার জন্য একটী সভা স্থাপিত হয়। এই সভায় রামগোপাল বক্তৃত করিতেন। এই সভা তৎকালে অতিশয় প্রসিদ্ধ হইয়া উঠিয়াছিল। বক্তৃতা ব্যতীত ইনি “জ্ঞানান্বেষণ,” “বেঙ্গল স্পেকটেটর”, (Bengal Spectator) প্রভৃতি সাময়িক পত্র স্বয়ং প্রতিষ্ঠিত করেন ও তাহাতে অনেক প্রবন্ধ লেখেন। অতঃপর কেলসল নামক জনৈক সাহেব জোজেফের কুঠির অংশী হইলে রামগোপাল কুঠির মুচ্ছুদী হন এবং কিছুদিন পরে উহার অংশীদার হন। এই কুঠির নাম 'কেলসল ঘোষ এও কোং' হয়। পরে ১২৫৭ সালে ইনি বণিকসভার সভ্য হন। কিরূপে দেশের উন্নতি হইবে, কিরূপে গভর্ণমেণ্টের সুশাসন বৰ্দ্ধিত হইবে, কিরূপে শিক্ষিত ভারতবাসী উচ্চ রাজকার্য্যে নিযুক্ত হইবে, কিরূপে দেশে শিক্ষার বিস্তার হইবে, এই সকল চিন্তাতেই ইনি সর্ব্বদা ব্যাপৃত থাকিতেন এবং বক্তৃত ও লেখনী সঞ্চালন দ্বারা এই সকল ভাব প্রকাশ করিতেন। কিছুদিন পরে সাহেবের সংস্রব ত্যাগ করিয়া রামগোপাল স্বয়ং কুঠী স্থাপন করেন। ইহাতে ইনি যথেষ্ট লাভবান হন। ঋণ বিষয়ে ইনি সতর্ক ছিলেন। একবার সাহেবেরা