পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৭০৫

পত্রখানি সপ্তাহিক হইয়াছে। কেশবচন্দ্র সেন ইংলও হইতে প্রত্যাগত হইয়া মিরারকে দৈনিক পত্রে পৱিণত করিতে ইচ্ছ প্রকাশ করিলে নরেন্দ্রনাথ, ইঁহার সহিত একমত হইয়া পুনরায় ইহার সহিত সম্বন্ধ স্থাপিত করিলেন এবং প্রতাপচন্দ্র মজুমদারের অল্পদিনব্যাপী সম্পাদকতার পর নরেন্দ্রনাথ মিরারের সম্পাদনভার গ্রহণ করিলেন। ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে পত্রখনির একমাত্র স্বত্বাধিকারী হইয়া এখনও পর্য্যন্ত ইনি অতি যোগ্যতার ও নির্ভীকতাযর সহিত ইহার সম্পাদন করিয়া আসিতেছেন। কলিকাতা মিউনিসিপ্যালিটীর প্রতিনিধিস্বরূপ ইনি ১৮৯৭ হইতে ১৮৯১ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য থাকিয়া দেশহিতৈষিতা ও তেজস্বিতার সম্যক্ পরিচয় প্রদর্শন করিয়াছেন। ইনি গীতা-সভার সভাপতি। বিদেশে যাইয়া ভারতীয় যুবকগণ যাহাতে শিল্পাদি শিক্ষা করিতে পারে, তাহার ব্যবস্থা ও অর্থানুকুল্য করিবার জন্য কলিকাতায় একটা সমিতি আছে। নরেন্দ্রনাথ তাহারও সভাপতি। শিল্প, বিজ্ঞান, সাহিত্য, সমাজনীতি ও ধর্ম্মসংস্কারসম্বন্ধীয় যত সভা কলিকাতায় আছে, নরেন্দ্রনাথ প্রায় সকলগুলির সহিত বিশিষ্টভাবে জড়িত আছেন। কেবল থিয়জফিকেল সোসাইটী ইঁহারই নেতৃত্বাধীনে আছে। ইনি এত প্রকার কার্য্যের সহিত সম্বন্ধ রাখেন ষে, লোকে আশ্চর্য্যাম্বিত হয় কেমন করিয়া ইনি এই সকল কার্য্য সম্পন্ন করেন। কিন্তু এত কাজ সত্ত্বেও মিরার ইঁহার মনোযোগের প্রধান বিষয়। ইঁহার পাঠাভ্যাস, চিন্তাশীলতা ও শারীরিক পরিশ্রম অনেক যুবকেরও আদর্শস্থানীয়। চরিত্রনির্ম্মলতায়, দেশনুরাগে, রাজভক্তিতে, পরোপকারিতায় ইমি ৰঙ্গীয় সমাজে অতি উচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছেন। ১৯৩৮

৮৯