পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন কথা।
৭০৭

১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে ১৩ই জুলাই বহুমুত্ররোগে ইঁহার দেহত্যাগ ঘটে। ইনি পিতার ষষ্ঠ ও কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন। ইঁহার দ্বিতীয় অগ্রজ উমেশচন্দ্র “বিধবা-বিবাহ” নাটকের প্রণেতা এবং তৃতীয় অগ্রজ কেশবচন্দ্র সুবিখ্যাত মৃদঙ্গবাদক ছিলেন। কর্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ করিয়া রমেশচন্দ্র বিবাহ ব্যয় সংক্ষেপ কল্পে বিশেষ চেষ্টান্বিত হইয়াছিলেন এবং জাতীয় সমিতিতে যোগদান করিয়াছিলেন।

তারানাথ তর্কবাচস্পতি।

 বিখ্যাত পণ্ডিত এবং গ্রন্থরচয়িতা। ১৮১২ খৃষ্টাব্দে ইনি জন্মগ্রহণ করেন। ইনি কাশীধামে এবং কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে সংস্কৃত ভাষায় যাবতীয় শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া তর্কবাচস্পতি উপাধি প্রাপ্ত হন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত ইঁহার প্রগাঢ় বন্ধুত্ব ছিল। তাঁহার চেষ্টায় ইনি ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপকের পদ প্রাপ্ত হন। ইহার পূর্বেই তিনি অর্থোপার্জ্জনের নিমিত্ত বহুবিধ ব্যবসায় অবলম্বন করিয়াছিলেন। কাপড়ের কারবার, স্বর্ণালঙ্কারের দোকান, কৃষিকার্য্য প্রভৃতি বহুবিধ ব্যবসায়ে তিনি লিপ্ত ছিলেন। নেপাল হইতে কাষ্ঠ আনাইয়া বিক্রয়, বীরভূমে বিঘাপ্রতি দুই আনা খাজনায় দশহাজার বিঘা জমি লইয়া চাষ, এবং তথায় পাঁচশত গরু রাখিয়া তাহা হইতে উৎপন্ন ঘৃত কলিকাতায় চালান দেওয়া প্রভৃতি তাঁহার অনেকগুলি ব্যবসায় ছিল; কিন্তু ব্যবসায় কার্য্যে নিযুক্ত থাকিয়াও তিনি শাস্ত্রালোচনা বা সাহিত্যসেবা পরিত্যাগ করেন নাই। ইনি বার বৎসর