পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭১০
বিদ্যাসাগর

পরীক্ষার উত্তীর্ণ হইয়া সুবর্ণপদক পুরস্কার প্রাপ্ত হন। পর বৎসরই বি, এল, পরীক্ষার উত্তীর্ণ হইয়া গুরুদাস কিছুদিনের জন্ত বহরমপুর কলেজে আইনের অধ্যাপন করেন। অতঃপর ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে কলিকাতা হাইকোর্টে ওকালতী আরম্ভ করেন। ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে ইনি ডি, এল, উপাধি লাভ করেন। অতঃপর গুরুদাস দুই বৎসর পরে ঠাকুর ল-লেকচারার কর্ম্মে নিযুক্ত হইয়া “হিন্দুগণের বিবাহ ও স্ত্রীধনসম্বন্ধীয় আইন"বিষয়ে শিক্ষা নেন। ইনি ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার অন্ততম সভ্যরূপে মনোনীত হন এবং ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দে অস্থায়ী ও পর বৎসর স্থায়িভাবে কলিকাতা হাইকোর্টের অন্যতম জজের পদে অধিষ্ঠিত হন এবং এই পদ হইতে ১৯০৪ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে অবসর গ্রহণ করেন। ঐ বৎসরেই গবর্ণমেণ্ট ইহাকে “নাইট” উপাধি প্রদান করেন। শিক্ষা বিষয়ে ইঁহার বিশেষ অনুরাগ ছিল। ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে ইনি কলিক্কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসচেন্‌সেলার পদে অধিষ্ঠিত হন এবং নিয়মিত দুই বৎসর কাল কার্য্য করিয়া ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে আবার দুই বৎসরের জন্য ঐ কার্যে নিযুক্ত হন। ১৯৯২ খৃষ্টাব্দে ইনি ইণ্ডিয়ান ইউনিভারসিটী কমিসনের অন্ততম সদস্ত নির্ব্বাচিত হন। ছাত্রমণ্ডলীর সহিত ইঁহার বিশেষ সহানুভূতি ছিল এবং ইহাদের উন্নতিকল্পে অনেক কার্য্য ইনি করিয়াছিলেন। ইনি ইংরেজী ভাষায় একখানি পাটীগণিত প্রকাশিত করিয়াছিলেন এবং A few thoughts of Education নামক একটী শিক্ষা বিষয়ক প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন। বাঙ্গালা ও সংস্কৃত সাহিত্যে ইনি বিলক্ষণ বুৎপন্ন ছিলেন এবং সাহিত্যিক ব্যাপারে বোগদান করিতেন। ইনি একজন আড়ম্বরশূন্য নিষ্ঠাবান হিন্দু ছিলেন।