পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



মহারাজ যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর।

 কলিকাতায় পাথুরিয়াঘাটার বিখ্যাত জমিদার। ১৮৩১ খৃষ্টাঙ্গে ইনি জন্মগ্রহণ করেন। ইহার পিতার নাম হরকুমার ঠাকুর। ইনি প্রথমে বাড়ীতে গুরুমহাশয়ের নিকট সামান্য শিক্ষালাভ করিয়া, তৎকালীন ইনফ্যাণ্ট স্কুলে, পরে হিন্দুকলেজে অধ্যয়ন করেন। সে সময়ে এ দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি হয় নাই, সুতরাং হিন্দু কলেজের পড়া শেষ হইলে যতীন্দ্রমোহন বাড়ীতে ইংরাজ শিক্ষকের নিকট ইংরাজী এবং পণ্ডিতের নিকট সংস্কৃত শিক্ষা করেন। ২৭ বৎসর বয়সে পিতৃবিয়োগ হইলে ইনি খুল্লতাত প্রসন্নকুমার ঠাকুরের নিকট বিষয় কার্য্যাদি শিক্ষা করেন। ইহার অল্পদিন পরেই ইনি বৃটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েসনের সম্পাদক হন এবং ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্ত পদ লাভ করেন এবং পরে বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভার সভ্য পদে অধিষ্ঠিত হন। এই সকল কার্য্যে ইনি গভর্ণমেণ্টের নিকট প্রচুর সুখ্যাতি পাইয়াছিলেন। ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে বড়লাট লর্ড মেয়ো ইঁহাকে ‘রাজা বাহাদুর’ এবং ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার ‘রাজরাজেশ্বরী’ উপাধি গ্রহণ-কালে বড়লাট লর্ড লিটন ‘মহারাজা’ উপাধি প্রদান করেন। ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দে ইনি সি, এস, আই; ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে কে, সি, এস, আই; ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে মহারাজা বাহাদুর ও ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে পুরুষানুক্রমে ‘মহারাজা’ উপাধি প্রাপ্ত হন। ইনি বহুবিধ সৎকার্য্য করিয়া গিয়াছেন। বিধবাদের দুঃখ দূরীকরণ জন্য এক লক্ষ টাকা, মেও হাঁসপাতালের জন্য দশ হাজার টাকা, দাতব্য সভায় আট হাজার টাকা দান করিয়া গিয়াছেন।