পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭১২
বিদ্যাসাগর।

ইহা ব্যতীত গোপনে দান অনেক আছে। ইহার বাটতে প্রত্যহ অতিথিসেবা হয়। হিন্দুধর্ম্মে ইঁহার প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল। প্রভাতে সন্ধ্যাবন্দনাদি না করিয়া ইনি বাহিয়ে আসিত্তেন না। ইনি একজন সুকবি ছিলেন।প্রবন্ধ, সঙ্গীত এবং পুস্তক প্রণয়ন করিয়াছেন। উভয় সঙ্কট, চক্ষুদান, যেমন কর্ম্ম তেমনি ফল, বিদ্যাসুন্দর নাটক প্রভূতি প্রহসনগুলি ইঁহার লিখিত। ইঁহারই চেষ্টায় ও উৎসাহে এদেশে থিয়েটারের প্রথম স্বত্রপাত হয়, এবং ইনিই ভ্রাতা সোরীন্দ্র মোহনকে লইয়া থিয়েটারে ঐক্যতান বাদনের প্রতিষ্ঠা করেন। ইনি একদিকে যেমন অতুল ঐশ্বর্ষ্যের অধিকারী, অন্যদিকে তেমনই সাহিত্য ও সঙ্গীতের অনুরাগী ও উৎসাহদাতা ছিলেন। ইনি সাহিত্যসেবীগণকে বিশেষ আদর করিতেন এবং জীবনের অন্তিম ভাগেও সাহিত্যিকগণের মিলন জন্য যে “পূর্ণিমা -সম্মিলন” হয়, তাহাতে যোগদান করিতেন। ইনি রাজদ্বারে যেমন সম্মান, দেশের লোকের নিকটও তেমনই সম্মান পাইতেন। ইনি বৃটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েসানের সেক্রেটারীর কার্ঘ্য বহুদিন ধরিয়া সম্পন্ন করেন; পরে উক্ত সভার সভাপতিও হইয়াছিলেন। জীবনের শেষ ভাগে সাধারণ সভায় বড় একটা যোগদান করিতে পারিতেন না, কিন্তু কি দেশের লোক, কি ছোটলাট, বড়লাট সকলেই বিশেষ বিশেষ কার্য্যোপলক্ষে ইঁহার সহিত পরামর্শ করিতেন। লর্ড নর্থব্রুক, লর্ড রিপণ, লর্ড ল্যান্সডাউন ও বঙ্গের অনেক ছোটলাট ইঁহার বাড়ীতে আসিয়া আতিথ্য গ্রহণ করিয়াছেন। বেলগেছিয়া নাট্যশালা স্থাপনে ইনি প্রধান উদ্যোগী ছিলেন। পরে এইখানে অভিনয় ঋদ্ধ হইলে নিজবাটীতে কয়েক