পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৭২৩

ভূষিত হন। ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে মহারাণী ভিক্টোরিয়া ভারত-শাসন-ভার গ্রহণ করিলে, ইনি শোভারাজার রাজবাটিতে একটি সন্মিলনী আহূত করেন। তাহাতে বড়লাট প্রমুখ ইংরেজ কর্ম্মচারিগণ এবং দেশের গণ্যমান সকলেই উপস্থিত ছিলেন। সেরূপ বৃহৎ অনুষ্ঠান এদেশে আর কখন কেহ দেখেন নাই। সিপাহিবিদ্রোহ দমনের পর শান্তি স্থাপনের স্মরণার্থে ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে ইনি আর একটি সন্মিলনী আহূত করেন। ১৮৬১ খৃষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশন স্থাপিত হইলে, ইনি সেই সময় হইতে মৃত্যুকাল পর্যন্ত ইহার সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে কলিকাতাবাসিগণ জাতি নির্ব্বিশেষে ইঁহার পাণ্ডিত্যের এবং তাঁহাদের ভক্তি-সম্মানের নিদর্শনস্বরূপে ইঁহাকে একখানি অভিনন্দন-পত্র প্রদান করেন এবং সংগৃহীত অর্থ দ্বারা ইহার একখানি তৈলচিত্র প্রস্তুত করেন। সেই চিত্রথনি এসিয়াটিক সোসাইটির একটি প্রকোষ্ঠে রক্ষিত হইয়াছে। ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দে রাধাকান্ত ধর্ম্মসাধন মানসে কলিকাতা পরিত্যাগ করিয়া বৃন্দাবনে বাস করেন। ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে ইনি কে-সি-আই উপাধি প্রাপ্ত হন। এই উচ্চতর সম্মান বাঙ্গালীর মধ্যে ইনিই প্রথম লাভ করেন। কথিত আছে যে, এই উপাধির ভূষণ (তারকা) লইবার জন্য অনুরুদ্ধ হইলে, ইনি কলিকাতায় আসিতে অসন্মত হওয়ায় তখনকার লাটসাহেব স্যার জন লরেন্স আগ্রা সহরে দরবার করিবার ব্যবস্থা করেন।

 পণ্ডিতেরা বলিয়াছিলেন যে, অগ্রবন (আগ্রা) বৃন্দাবনেরই অন্তর্গত, সুতরাং সেখানে ঘাইতে কোন আপত্তি নাই। এই জন্যই রাধাকান্ত আগ্রার দরবারে উপস্থিত হইয়াছিলেন। ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে ১৬ই নবেম্বর এই দরবার হয়। রাধাকান্ত দরবার মণ্ডপে