পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সংস্কৃতে অধিকার।
৬৯

সেই সময় তাঁহার মধ্যম, ভ্রাতা দীনবন্ধু[১] শিক্ষার্থ কলিকাতায় আগমন করেন। পাক-কার্য্যের ভার ঈশ্বরচন্দ্রের উপর পতিত হয়। কেবল কি তাই, প্রত্যহ প্রাতঃকালে স্নান করিয়া তিনি বাজারে ঘাইতেন এবং বাজার হইতে পিতার অবস্থানুসারে আলু, পটোল প্রভৃতি তরি-তরকারী ও মৎস্যাদি ক্রয় করিয়া লইয়া বাসায় ফিরিয়া আসিতেন।তারপর তিনি নিজেই ঝাল হলুদ শিলে বাটিয়া লইতেন। তখন পাথুরে কয়লার প্রচলন হয় নাই। তিনি স্বহস্তে কাঠ চালা করিতেন এবং উকুন ধরাইতেন। বাসায় চারিটী লোক খাইতেন। চারিজনের জন্য ভাত, ডাল মাছের ঝোল রাধিয়া তিনি সকলকে আহার করাইতেন এবং আহারান্তে সকলের উচ্ছিষ্ট মুক্ত করিয়া স্বয়ং বাসনাদি ধৌত করিতেন। হলুদ বাটিয়া, কাট চিরিয়া, বাসন মাজিয়া সত্য সত্য তাঁহার অঙ্গুলি ও নখ কতকটা খয়িয়া গিয়াছিল। তুমি আমি শুনিলে শিহরিয়া উঠি বটে; বালক ঈশ্বরচন্দ্র ইহাতে কিন্তু অপার আনন্দ ও পরম পরিতোষ লাভ করিত্বেন। অনেক অবস্থাহীন ব্যক্তি বাল্য কালে এইরূপ কঠোরতার সহিত সংগ্রাম করিয়া ভবিষ্যৎ জীবনে অতুল কীর্ত্তিমান ও যশস্বী হইয়া গিয়াছেন। ডক্তার গুডিব চক্রবর্ত্তীর সম্বন্ধে এইরূপ শুনা যায়। তাঁহাকে একজনের বাসায় রন্ধন করিতে হইত। রন্ধন করিতে করিতে

  1. ইনি স্যাররত্ন উপাধি ভূষিত হন।ইনি স্কুলের ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট এবং তৎপরে স্কুলের ইনসপেক্টর ইইয়াছিলেন। ইহাঁর রচিত একখানি পদ্য পুস্তক ছিল।