পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা । & বাস্তবিক সাধারণতঃ যাঁহাকে রসাত্মক কাব্য বলে, তদস্থসারে ভারতের,বিদ্যাম্বন্দর স্বধু বাঙ্গালায় প্রধান কাব্য নহে,ইহাই একমাত্র কাব্য, ভারতচন্দ্রের কাব্য সমালোচনায় দেখান গিয়াছে যে, প্রাচীন স্বাঙ্গাল। সাহিত্যে ধৰ্ম্ম ছাড়া কাব্য নাই । ধৰ্ম্মপ্রচারের জন্যই প্রধানতঃ বাঙ্গাল। কাব্য লিখিত । হইয়াছিল । বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, কৃষ্ণদাস, কবিকঙ্কণ, কবিরঞ্জন, ঘনরাম, রামেশ্বর প্রভূতি সকলেই ধৰ্ম্মকথা প্রচারের জন্ত দেবতাদের বরপুত্ৰগণের জীবনচরিত—তাহাদের দেবতাপুজ। প্রচার প্রভূতি বিষয় কাব্যে বণনা করিয়াছেন । কাব্য লেখা অপেক্ষ ধৰ্ম্মপ্রচার তাহাদের প্রধান উদেশ্য ছিল। কেবল একমাত্র বিদ্যাসুন্দরই বাঙ্গালার রসপ্রধান কাব্য। কাব্যলেখার জন্যই প্রধানতঃ ভারতের বিদ্যামুন্দর লিখিত হয়। তাই বাঙ্গালী পাঠকের নিকট বিদ্যাসুন্দরের এত আদর । কবিরঞ্জনের বিদ্যাসুন্দর অতি উচ্চদরের কাব্য হহলেও তাহাতে অন্যান্য কাব্যের ন্যায় দেবার বরপুত্র শাপ ভ্ৰষ্ঠ মুন্দর কিরূপে কালা পুজ। প্রচার করিয়াছিলেন, তাহাই প্রধানতঃ বর্ণিত হইয়াছে। কবিরঞ্জনের বিদ্যাসুন্দর পড়িলেই বোধ হয়, কবি যেন কালীর মাহাত্ম্য, ভক্তের প্রতি তjহার করুণ, প্রভৃতি বুঝাহবার জন্যই এই কাব্য লিখিয়াছেন । তাহার বিদ্যাম্মদরের আগাগোড়াই ধৰ্ম্মকথা, ধন্মের আভাস, ধৰ্ম্মের ইঙ্গিতে পরিপূর্ণ । তিনি সৰ্ব্বত্রই তাহার নিজ কালী ভক্তির পরিচয় দিয়াছেন । সাধারণ রুচিবিরূদ্ধ বর্ণনাই হউক,~~ব্যঙ্গ পরিহাসের বর্ণনাই থাকুক, আর রসিকতার বর্ণনাই থাকুক, সৰ্ব্বত্রই তিনি প্রতি পরিচ্ছেদের শেষে বলিয়াছেন,— প্রসাদে প্রসন্না হও কালী কৃপামই । আমি তুয়া দাসদাস দাসপুত্র হহ ॥ অথবা এইরূপ অন্ত কোম প্রাথনা করিয়াছেন। শুধু তাহাই নহে, তাহার কাব্যের অনেক স্থলেই সাধনার যুঢ়, কথার ইঞ্জিত আছে--