পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ভূমিকা । “কালীকিঙ্করের কাব্য কথা বুঝা ভার। বুঝে কিন্তু সে কালী-অক্ষর হৃদে যার ॥” আবার অনেক স্থলে সে ইঙ্গিত এত অস্পষ্ট যে, একৃত্ত সাধক ব্যতীত তাছা কেহই বুঝিতে পারে ন-- “গ্রন্থ মধ্যে সঙ্কেত রহিল যে যে স্থানে ॥ মা জানেন মাত্র ব্যক্ত নহিলে কে জানে। সুতরাং কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দর কা ব্য মধ্যে উৎকৃষ্ট হইলেও সাধারণতঃ যাহাকে কাব্য বলে, ঠিক তাহ লেখাই কবিরঞ্জনের উদেষ্ঠ ছিল না। কেন না,—

  • বিষম বিষয় কাল শপ নিয়। খেলা । স্বকীয় কল্যাণ কিছু চিন্তা করা চাই।” এজন্য কবিরঞ্জন বিদ্যাম্বন্দর পড়িলে শুধু আমোদ পাওয়া ব্যতীত, তাহার সহিত পারমার্থিক মঙ্গলও কিছু সংসাধিত হয়। কেন না ইহ “যে গাওয়ায় ষে বা গায়, তাহার মঙ্গল।” তাই বলি, শুধু যাহারা আমোদ চাহেন, মুধু কাব্য পড়িতে চাহেন, কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দর র্তাহীদের ভাল লাগে না। একমাত্র ভারতের বিদ্যাসুন্দরই তাহাঁদেয় নিকট আদৃত। বাস্তবিক প্রাচীন বাঙ্গালী সাহিত্যের মধ্যে একমাত্র ভারতচক্সের বিদ্যাস্কারই সাধারণ লোকের কাব্যপাঠস্থছ সম্পূর্ণরূপে তৃপ্তি করিতে পারে। ভারত স্বয়ংই তাহার বিদ্যাসুন্দরে বলিয়াছেন,

“ভারতের রচিতের অমৃতের ভার। ভাষা গীত সুললিত অতুলিত সার ॥” তাই বাঙ্গালার ভারতের বিদ্যাসুন্দরের এত অাদর। কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দরে কাব্যরস যথেষ্ট আছে সন্দেহ নাই— কিন্তু তাহার সহিত ধৰ্ম্মকথা কড় অধিক পরিমাণে মিশিয়া अi८छ् । আমরা জানি, আজিও এদেশে এমন পণ্ডিত পাওয়া যায়, যাহারা ভারত ও কবিয়ঞ্জনের বিদ্যাসুন্দর আগাগোড়া হরগৌরী পক্ষে ব্যাখ্যা করিতে পারেন। শুনিয়াছি এরূপ