পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা । q ঠু ব্যাখ্যা-করা পুথি ও অনুসন্ধান করিলে পাওয়া যায় । কিন্তু পণ্ডিতে বিদ্যাম্বন্দর সম্বন্ধে যেরূপ পাণ্ডত্য প্রকাশ করুন ন। কেন; সাধারণ লোকের কাছে বিদ্যাসুন্দর কাব্য বই আর কিছুই নহে। সুতরাং লোকে কাব্যের দেtষ গুণ ধরিয়াই এই দুই বিদ্যtহন্দরের তুলনা করিয়৷ থাকেন। * আবার স্বধু ধৰ্ম্মের কথা, সুধু সাধনার কথার বাড়াবাড়ি আছে বলিয়াই যে কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দর সাধারণের নিকট আদৃত হয় নাই, তাহ নহে ; কবিরঞ্জনের রচনা ভারতের ন্যায় তত মধুর, তত প্রাঞ্জল নহে। অনেক স্থলে কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দরের অর্থ কেবাধ্য—অনেক স্থলে তাহ অবোধ্য । লিপিকর প্রমাদ জন্যই হউক, আর যে জন্যই হউক, অনেক স্থানের পাঠে গোলযোগ হইয়াছে— অর্থ দুৰ্ব্বোধ হইবার ইহা এক প্রধান কারণ। অনেক স্থলে আবার সাধনার গুঢ় কথা আছে বলিয়৷ সেই সকল স্থান কুট ও দুৰ্ব্বোধ্য করা হইয়াছে । আবার হু হার উপর কবির অনুপ্রাসের ছটা, অপ্রচলিত শব্দের ঘটী, দূরাখয় প্রভৃতি দোযে, আর হিন্দী ও পারসী কথার বাড়াবাড়ি, ও এইরূপ অপ্রচলিত ভাষার বর্ণনার আধিক্য জেতু, অনেক স্থলের অর্থ সহজবোধ্য নহে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ নিম্নে তাহার দুই একটা উদ্ধৃত হহল – সুন্দরের বন্ধন দৃষ্ঠে বিদ্যার খেদোক্তি ;– “দয়িত দুৰ্গতি দেখি দগ্ধ দ্বিজরাজ-মুখী দুঃখ সিন্ধু উথলিয়৷ উঠে। ধরাতলে ধনী পড়ে, ধীহার খুচয় বাড়ে, ধড়ে প্রাণ নাহি ঘৰ্ম্মছুটে । নয়নে নিম্নগাতীর, নিশায় নির্গত নীর, নাথার্থে পদ্মিনী যেন জ্বর। । ফাপরে ফেপর রূপ, ফলতঃ করগে কৃপ, {ফকিরে ফিরাও প্রাণনাথে ॥** পাঠকগণ ভারতের এই স্থানের বর্ণনা দেখুন,— “ল ত হইল বিভাবরী, বিদ্যারে কহিল সহচরী,