পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&o ভূমিকা । বিদ্যামুন্দর লেখা শেষ করিয়াছিলেন। এ কথা কতদূর সঙ্গত দেখা যাউক । কবিরঞ্জনের জীবনীতে দেখান হইয়াছে যে, তিনি ২০ বৎসরের অনধিক বয়সে মুহুরিগরি কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া, মাসিক ৩০ টাকা বৃত্তি পাইয়া স্বগ্রাম কুমারহট্রে আসিয়া নিজ ইষ্টদেবী কালী আরাধনায় নিয়াক্ত হন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র ১৬৩৪ শকে;জন্মগ্রহণ করেন t সুতরাং তিনি ভারতের সমবয়স্ক ও কবিরঞ্জন অপেক্ষ। আট বৎসরের বড় ছিলেন । কুমারহট্টে মহারাজের বায়ুসেবনালয় ছিল । সুতরাং তিনি যে যৌবনে—বিলাসের সময়, প্রতি বৎসর এই স্থানে বেড়াইতে আসিতেন, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। র্তাহার মত গুণগ্ৰাহী কাব্যরসজ্ঞ লোকের নিকট যে কবিরঞ্জন অধিক দিন অপরিচিত ছিলেন তাহ বোধ হয় না। স্বতরাং কবিরঞ্জনের কুমারহট্টে আসিবার অল্প কাল পরেই যে তাহায়ু সহিত মহারাজ কৃষ্ণ- “ চন্দ্রের আলাপ হয় তাহ নিশ্চয় । অন্নদামঙ্গল রচিত হইবার এক বৎসর পূৰ্ব্বে অথাৎ ১৬৭৩। ৭৪ শকে যে ভারতের সহিত মহা রাজের প্রথম পরিচয় হয়, তাহা তাহার জীবনী পাঠেই পরিচয় পাওয়া যায় । তাহ হইলে যখম কবিরঞ্জনের সহিত মহারাজের আলাপ, তথম ভারতের সহিত তাহার পরিচয় ছিল না । সুতরাং মহারাজ যে কবিরঞ্জনের গুণের পরিচয় পাহবার অল্পকাল পরেই তাহাকে ভূমি ও উপাধি দান করিয়াছিলেন, তাহ। নিশ্চয় রূপে বলা যাহতে পারে। কবিরঞ্জন এ সময়ে সুধু ভক্ত সাধক, সঙ্গীত রচয়িত বা গায়ক ছিলেন না, তখন তনি এক জন বিলক্ষণ রসজ্ঞ কৰিও ছিলেন । অতএব সে সময়ে মহারাঞ্জের অনুরোধেই হউক, আর ষে কারণেই হউক, তিনি আট পালায় কালীমঙ্গল ও তৎসহ বিদ্যামনীর রচনা করিয়া মহারাজকে উপহার দিয়াছিলেন তাহাই সম্ভব । অতএব এ হিসাবে ধারলে কবিরঞ্জন বিদ্যাস্বন্দর যে ভারতের বিদ্যান্বন্দরের পুৰ্ব্বে লিখিত হইয়াছিল তাহা সিদ্ধাস্ত করা যাইতে পারে ।