পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুন্দরের বদ্ধমান প্রবেশ । (: ء براد --8 د) পাঠকগণ দেখিযেন কবিরঞ্জনের বদ্ধমান বর্ণনা অতি চমৎকার। যথার্থ হিন্দু রাজার রাজধানী যেরূপ হওয়া উচিত কবি তাহাই বর্ণনা করিয়াছেন । এই আদশ রাজধানীতে রোগ, শোক, দুঃখ নাই । সকলেই স্বধৰ্ম্মে নিরত, নিজ কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম পালনে ব্যস্ত। যেখানে কত বেদবেত্তা, কত আগমজ্ঞ, কত দৈবজ্ঞ, কত যোগী, কত ভক্ত সৰ্ব্বদ চারিদিকে বিচরণ করিতেছেন । সেখানে কেহ দরিদ্র নাহ, অকাল মৃত্যু নাই, কাহারও জরা নাই, থাকিলেও আর বেদজ্ঞ বৈদ্যের অব্যর্থ চিকিৎসায় তাহ সহজ সাধ্য। সেখানে সকলই সুখময়-- সৰ্ব্বত্রেই শান্তি বিরাজিত। বাস্তবিক ইহাতেই আধ্যাত্মিক উন্নতির চরম বর্ণনা করা হইয়াছে। কবির মতে,— “পরম পবিত্র রাজ্য পরম্পর পূর্ণকাৰ্য্য স্বরাচাৰ্য্য সদৃশ অনেক ।” আবার সুধু যে কেবল আধ্যাত্মিক উন্নতি আছে, আর কিছুই নাই তাহাও নহে- এখানে ‘ গান বাদ্য ঘরে ঘরে, চচ্চিত, আবালবৃদ্ধ সকলেই এই রসে রাত্রি দিব উন্মত্ত । কৰির মতে ‘ন বিদ্যা সঙ্গীত পর’ সুতরাং যে দেশে তাহার এত অধিক চর্চা, সে দেশে অন্যান্য বিদ্যারও সেই রূপ : চটচ হওয়া উচিত। মুকুমার বিদ্যার মধ্যে সঙ্গীত ও কাব্যই শ্রেষ্ঠ এই জন্য এ দেশের লোকেরা সঙ্গীত ও কাব্য উভয়ই সৰ্ব্বদা চচ্চা করিয়া থাকে। তাহার কাব্য ছাড়া একটুকুও থাকে না । ইহা ব্যতীত কবিরঞ্জন দেখাইয়াছেন, ভারতের সকল দেশ হইতেই এখানে বিদ্যাশিক্ষার্থীরা আসিয়া থাকে । বাস্তবিক এখানে চৌষট্টি কলা বিদ্যারই সম্পূর্ণ চচ্চ আছে, তাই— "গোধন রক্ষক ধারা, সঙ্কীৰ্ত্তণ ভাযে তারা, কে বুঝে পণ্ডিত কেবা চাষা।”