পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)3 বিদ্যাকুন্দর । তাহার অজ্ঞাতে মাল। রচনা করিয়। তাহীর দ্বীর বিদ্যাকে নিজ পরিচয় দি য় ছিলেন । কিন্তু শেষে কার্য্যোদ্ধার হইলে তিনি কীরাকে বিশ্বাস করেন, এবং অতি গোপনীয় কথা পর্যন্ত বলেন । নীচ জাতিকে এরূপ বিশ্বাস করায় কিছু দোষ হুইয়াছে । মাল৷ গাথা সম্বন্ধে ভারত বলিয়াছেল, ”এক দিন মে৷র গtথা মালা লয়ে যাওঁ । মালা মাঝে পত্র দিব তাহে বুঝা মুঝা ॥ বেড়া নেড়ে যেমন গৃহস্থের মন বুঝা_।” i সুন্দরের মাল্য গ্রন্থন । (৩৩ - ৩৪ 3) ভারত ও কবিরঞ্জন দুই কবিই মাল্যরচনা সুবর্ণনা করিয়াছেন। পাঠক দুইটির তুলনা করিয়া দেখিবেন । আমাদের দেশে মাল্যরচনা, চৌষট্টি কলার বিদ্যার মধ্যে একটা প্রধান বিদ্যা ; সুকুমার বিদ্যার মধ্যে ইষ্টা প্রধান । এই জন্য প্রকৃতরূপে শিক্ষিত হইতে হইলে মাল্যরচনা বিদ্যাও শিক্ষা করিতে হয় । সুন্দর (সঙ্গ জন্য মাল্যরচনায় পাণ্ডিত্য দেখাইয়া, নিজ বিদ্যার পরিচয় দিতে চেষ্টা করিয়াছেন। ভারতের মাল্যরচনা ও কবিরঞ্জনের মাল্যরচনা বর্ণনায় কিছু প্রভেদ আছে। পূৰ্ব্বে বল হইয়াছে, ভারতের সুন্দরে বিলাসিতার ভাগ বড় অধিক । সেই জন্য র্তাহার মালা গাথায়ও বিলাসিত তাছে। ভারত রলিয়াছেন, “ভাবে রায় মালায় কি হবে কারিকরি। অন্তের অদৃশ্য কিছু কারিগরি করি ॥” তিনি পুষ্পময় মদন গড়িয়া সে কারিগরি দেখাইলেন। কবিরঞ্জনের মালা গাথাতেই ‘অদ্ভুত কৌশল আছে ।