পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যার অনুনয় । 8X “কইপিাতার্থে স্থির নিশ্চয়ং মনঃ নিম্নাভিমুখং পয়ঃ প্রতীপয়েৎ ॥’. ভারত বলিয়াছেন, “খুলিল মনের দ্বার না লাগে কপাট ।” এস্থলে কবি বিদ্যার অধৈৰ্য্যের প্রকৃত কারণ দেখাইয়াছেন । বিদ্য বিদ্যাবতা বটে কিন্তু তিনি বিলাসে প্রতিপালিত কখন “আশা ভঙ্গ দুখ” ভোগ করতে হয় নাই। তিনি রাজকন্ত। তাহার স্বতন্ত্র এক মহাল ছিল, তিনি সৰ্ব্বদ সখীগণে পরিবৃত থাকিতেন, পিতা মাত কদাচিৎ তাহাকে দেখিতে আসিত বা তত্বাবধারণ করত । সুতরাং বিদ্যা বরাবরই নিজ ইচ্ছামত কাজ করতেন । এ সময়েও সেই ইচ্ছা বলবতী হয়, সুতরাং তিনি ধৈর্য্য ধারতে পারবেন কেন ? তিনি অন্ত বিষয় শিক্ষা পাইলেও ধৈর্য্য . ধরিতেও শিক্ষণ পান নাই । বঙ্কিম বাবু বিষবৃক্ষে নগেন্ধের চরিত্র ঠিক এই রূপে কতকটা অঞ্চত করিয়া, সে চরিত্রের গুঢ় রহস্য বুঝাইয়। দয়াছেন। - মালিনার প্রতি বিদ্যার অনুনয় । (৪১-৪২ খৃঃ) রাখি হার পরহার- মালা রাখিয়kমালিনী মাসীর নিকট, মাপ চাহিল । বুড়ি নও বুদ্ধ লোপ মমতা সকল গেল দুর—ভারত বলিয়াছেন, “কহিতে পারি যেহ, কহিয়াছ সেই আমি লো নাতনী তোর ।” আদ্যোপাস্ত এই ধারা-আমাকে—বিদ্যা এই স্থলে নিজ মুখে নিজ চরিত্র কথা সুন্দর রূপে ব্যক্ত করিয়াছেন। বিদ্যার চরিত্রের এভাব টুকু না বুঝিলে তাহাকে বুঝা যাইবে না।