পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లు বিদ্যাসুন্দর। চন্দ্র যেমন পাণ্ডুর ও নিম্পূভ দেখায়, বিদ্যার মুখও সেইরূপ হইয়াছে । প্রসবস্থলী-জননী । ভারতে আছে,. প্ৰণমিতে মারে বিদ্যা নাহি পায়ে লজ্জায় পেটের ভরে ॥” কানো কথা কহে শুদ্ধ-কবিরঞ্জনের বিদ্যা এই সকল স্থলে বড়ই কুব্যবহার করিয়াছেন। পূৰ্ব্বে যে অবরোধ প্রথার কথা বলা হইয়াছে, তাহাতে যেমন মাতা ও কন্যায় দেখাদেখি ছিল না, তেমনি তাহার ফলে মাতৃস্নেহ ও মাতৃভক্তি অনেক কমিয়া গিয়াছিল। বোধহয় সেই জন্যই বিদ্যা মাতার প্রতি কোনরূপ সম্মান না দেখাইয়। অথবা যথোচিত ভক্তি না করিয়া অন্যায় করিয়া মাতাকে কতকগুলা কটু কথা বললেন। তবে বিদ্যা অবগু বঙ্কিতে পারে, “অনাথিনী থাকি এক ছমাস বৎসরে দেখা দিনেক তোমার সঙ্গে নাই।” ভারতও এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন যথা, “বাপে ন জিজ্ঞাসে মায়ে না সস্তাষে দাড়াইব কার কাছে।” মানব রাক্ষসী তুমি যমের দোসর সেই বাপ-বিদ্যার এই অযথা অভিযোগ বড়ই অন্যায় হইয়াছে। তরে অপরাধী নিজ অপরাধ গোপন জন্য এইরূপ করিয়া থাকে সে কথা সত্য। ঈদৃশ মহা শঙ্কটে পড়িলে যখন বড় বড় বুদ্ধিমান ব্যক্তিরাও কিংকৰ্ত্তব্য বিমূঢ় হইয় পড়েন, তখন তরল বুদ্ধি বালিকা বিদ্যা যে, এহ ঘোর বিপদে হিতাহিত ও দিগ্‌বিদিক জ্ঞান শূন্য হইয়া মায়ের প্রতি ঐক্লপ ব্যবহার করিৰে ইহা বড় আশ্চর্য্যের বিষয় নহে । ভারতের বিদ্যা প্রথমে কোন কথা কহে নাই, তবে শেষে আপনার অবস্থা গোপন করিতে চেষ্টা করিয়াছিল বটে।