পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা। 을 নাতি বিভূষিত। বর্ণন বিষয়েও যে ষে স্থানে গুণাফরের পারিপাটা-ও চাকচিক্য, সেই সেই স্থানেহ ইহার হীনতা দেখা যায় । • তাহার পূৰ্ব্বজ না হইলে কবিরঞ্জনের রচনার কেন এত বৈলক্ষণ জন্মিবে ? কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ বিদ্যাসুন্দর রচনা করিয়া রাজ। কৃষ্ণচন্দ্রকে দেখান। যদি ঐ বিষয়ের উৎকৃষ্টতর গ্রন্থ মহারাজের সভাসদ ভারতচন্দ্র কর্তৃক পূৰ্ব্বে প্রকাশিত হইত, তাহ হুহলে রামপ্রসাদ কখনই উহ। রাজাকে দেখাছতে সাহসী হইতেন না। এবং রাজাও কখন তাহ পাঠ করিয়া তাদৃশ প্রাতি লাভ করিতে পারিতেন না।” } কবিরঞ্জনের সহিত ভারতের উপাখ্যান ও বর্ণনাগত যে প্রভেদ আছে, তাহা আমুর সবিস্তারে দেখাইয়াছি। তবে ছন্দ সম্বন্ধে যে পার্থক্য আছে, তাছা দেখান হয় নাই । কবিরঞ্জন অপেক্ষ ভারতে অনেক নুতন ছন্দের বর্ণন আছে—ছন্দের অনেক পারিপাট্য আছে, তাহ তুলনা করিলেই সহজে বুঝা যাইবে । কবিরঞ্জন অনেক নূতন ছন্দ ব্যবহার কাররছেন সত্য । তাহারা বিদ্যাসুন্দরে মালঝাপ, তোটক, নানারূপ ত্রিপদী, চতুপদী, একাবণা, দিগম্বর, প্রভৃতি অনেক নুতন ধরণের ছন্দ প্রথম লক্ষিত হয় সত্য—কিন্তু ভারতে তাহ অপেক্ষা আরও অনেক নুতন ছন্দ, অতি পরিপাটা রূপে সন্নিবেশিত হইয়াছে। ইহ ব্যতাত ভারতে ধুয়া লহয়। অনেক বাড়াবাড়ি আছে— কবিরঞ্জনে তাহার প্রথম অঙ্কুর দৃষ্ট হয় মাত্র । আবার তাহার তোটক প্রভৃতি ছন্দে এত ছন্দপতন হুইয়াছে—যে তাঁহা তাহার প্রথম রচনা বোধ হয়। নমুনা সম্মুখে থাকিলে কবিরঞ্জনের এত ছন্দ পতন হইত না। ভারত সেগুলি অনেক চাচিয়া ছুলিয়া মস্বণ করিয়া লইয়াছেন । ইহা দ্বারাও ভারতের রচনা ষে কবিরঞ্জনের পরবর্তী তাহ বেশ বুঝা যায় । , বাস্তবিক এইরূপ যুক্তি অবলম্বন করিয়া নিঃসংশয়রূপে সিদ্ধান্ত করা যাইতে পারে যে, কবিরঞ্জন ভারতের পুৰ্ব্বে বিদ্যামুন্দর লিখিয়াছিলেন।,এই দুই বিদ্যাসুন্দরের উপাখ্যানগত ষে প্রভেদ আছে, এবং এক বিধয়ই দুই কৰি কিরূপ বর্ণনা করিয়".