পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২০ বিদ্যাসুন্দর । মান, রম্যক ও সৎ প্রমোদিত এই অষ্ট্রসিদ্ধি । ইহার মধ্যে পরিচর্য্যা করিয়া গুরুকে পরিতুষ্ট করিলে, তত্ত্বভাবভূত বিষয়ে যে জ্ঞান উৎপন্ন হয়, সেই সৎ প্রমোদিত নামক অষ্টম সিদ্ধিই উত্তমাসিদ্ধি । - তন্ত্রমতে উত্তম সিদ্ধি অস্ত্য প্রকার । যথা,— * মনোরথীনামকেশ সিদ্ধিরুত্তম লক্ষণং । মৃত্যুনাং হরণং তদ্ধদেবত দশনং তথা ॥ প্রয়োগেস্ত্যাঃ কেশসিদ্ধিসিদ্ধেস্তু লক্ষণং পরং । পরকায়ে প্রবেশশ পুরপ্রবেশনং তথ1, উৰ্দ্ধোৎক্রমণ মেবং হি চরাচর পুরে গতি থেচরী মেলনঞ্চৈব তৎ কথা শ্রবণদিকং ভূচ্ছিদ্রাদি প্রপশ্বেত্ত, তদুত্তমস্ত লক্ষণং। ” - বিদ্যাসুন্দরের স্বৰ্গারোহণ । ( ১৭৭-১৭৯ পৃ: ) আমার কৰ্ত্তব্য কহি –এস্থানে সুন্দর তাঙ্কণর পুত্রকে রাজনীতি ধৰ্ম্মনীতি প্রভৃতি সম্বন্ধে যে উপদেশ দিয়াছেন, তাহ অতি সুন্দর হইয়াছে । পরস্ত্রী. সাবধানে --চাণক্য শ্লোকে আছে, “ মাতৃবং পরদারেষু পরদ্রব্যেযু লোষ্ট্রবৎ । আত্মবৎ সৰ্ব্বভূতেষু য: পশ্যতি স পণ্ডিত ৷ ” মানি-মান-ভঙ্গ—যে মান্যমান বা সন্ত্রান্ত ব্যক্তি, তাহাকে কদাচ অপমান করা উচিত নহে । রিপু সঙ্গে সৌৰ্য- শক্রদের নিকট সৰ্ব্বদ বীরত্ব প্রকাশ করিবে, ইহাই বিগ্রহের প্রধান নীতি । ব্রাহ্মণ মামক তনু-ব্রাহ্মণই ঈশ্বরের শরীর, ইহা ভগবানের উক্তি । - ধরামর সন্নিকটে –পৃথিবীতে মনুষ্যের নিকটে ।