পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা । 8సి আর এক “স্থলে পুত্রকে একাক্ষবা মন্ত্ৰ দিয়া ৰিদ্য। তাহার নিজ শাস্ত্র শিক্ষা ও সাধন শিক্ষায় পরিচয় দিয়াছে । বাস্তবিক কবিরঞ্জন তাহার বিদ্যাকে উচ্চ শ্রেণীর কাল্পনিক রমণী করিয়া চিত্ৰিত..করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। ভারতে এ সকল কিছুই নাই । ● কবিরঞ্জনের হীরাও ভারতের হীরা অপেক্ষ অনেক ভাল । আমরা টীকার যথাস্থলে সে কথার উল্লেখ করিয়াছি, সুতরাং এস্থলে তাহার বিস্তারিত সমালোচনার আবশ্যক নাই। ভারতের হীরা যেমন "হারামের হাড়’ কবিরঞ্জনের হীরাও সেইরূপ। ভারতের হীরার মত এ হীরাও হাটের কড়ি চুরি করে, আবার গঙ্গাজল ছু ইয়া বলে, “পাচ কড়াকড়ি বাপু খাই নাই সুই।” এ হীরা সেইরূপ কুটিল স্বভাবীও বটে। কারণ “এই যে তোমার মাসী বোধে নহে টুট। কে পারে ভুলাতে কার ঘাড়ে মাথা ফুট। পুরুষের কান কাটে ধরে শক্তি ঙ্গীর। ফাকি দিয়া চাকি ভূতে গায় করে কিরা।” আবীর হীরা কোটালকে যে কটুবাক্য ললিয়াছিল, তাহাতেই তাহার অতুল সাহস ও নির্তিকতা বেশ বুঝা যায়। কিন্তু সে নীচ জাতীয়া হইলেও ভারতের হীরার মত সে তত নীচ স্বভাব ছিল না। সে কুচরিত্র ছিল না—স্পষ্টই বলিয়াছে “ এত কাল আছি নিষ্ঠ দেথ মিথ্যা অপ্রতিষ্ঠা তবে সুন্দরকে দেখিয় তাহার ধন, চঞ্চল হইয়াছিল বটে। কিন্তু সে কথা বিদ্যার নিকট মুক্তকণ্ঠে বলিয়াছিল,

  • বৃদ্ধার বাসনা হয় বঁাচে কি রূপসী । ” সে ভারতের হীরার মত বিদ্যাসুন্দরের গোপনে প্রণয়ে সাহায্য করে নাই। স্পষ্টই বিদ্যাকে বলিয়াছিল “ জন্মে জন্মে নানা পুণ্যপুঞ্জ তব ছিল । সেই ফল হেতু বর এমনি মিলিল ৷ ” জীবীর বিদ্যার নিকট ঘটকালি চাহিয়ছিল । অবিীর