পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিরঞ্জন রামপ্রসাদের ته < গোপাল ভাড় প্রভৃতি রসিক ও পরিহাসঞ্জ লোকও ছিলেন। গুণাকর ভারতচন্দ্র রায় তাহার দ্বারা উৎসাভিত হইয়া ছিলেন বলিয়াই, তাহার কবি তাপ্রমুন প্রস্ফটিত হইয়া আজিও বাঙ্গালাকে আমোদিত করতেছে । সুতরাং এ রূপ গুণগ্রাহী লোকের নিকট ষে রামপ্রসাদ অধিক দিন অপরিচিত থাকিবেন, তাহা সম্ভব নহে । মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র যখন কুমারহট্টে বাস করিতেন, তখন মহারাজা রামপ্রসাদকে আহবান করিয়া তাহার সহিত নানা বিষয়ের আলোচনা করিতেন, এবং তাছার ভক্তিপূর্ণ সঙ্গীত শুনিয়া পরমানন্দিত হইতেন । এ সময়ে ভারতচন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্রের নিকট পরিচিত হন নাই । সেই জন্য তিনি রাম প্রসাদের অসাধারণ কবিত্ব শক্তি ও পর মার্থিক ভাব দেখিয় তাহাকে সভাসদ করিবার মনস্থ করিলেন । কিন্তু রামপ্রসাদ সম্পূর্ণ সংসারবিরাগী ও বাসনাশুন্য ছিলেন । তিনি জানিতেন, “ক্ষিপ্ত যে স্বধৰ্ম্ম থেfয়ায় খোসামোদে। “ আমি তাই অভিমান করি, অামায় করেছ গো মা সংসারী ” প্রভৃতি গীতই তাহার পরিচয় । সুতরাং তিনি এই সুবিধাজনক রাজপ্রসাদ গ্রহণ করিতে সম্মত হইলেন না ! মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র ইহাতে কোন রূপ বিরক্ত না হইয়া রামপ্রসাদকে একশত বিঘা নিষ্কর ভূমি, ও ‘কবিরঞ্জন’ উপাধি প্রদান করিলেন । সুধু সঙ্গীতের কবিত্ব দেখিয়া যে মহারাজ র্তাহাকে কবিরঞ্জন উপাধি দিয়াছিলেন, তাহা অামাদের বোধ হয় না । তিনি অবত্য রামপ্রসাদের কবিত্ব শক্তি কাব্যের দ্বারা পরিচয় পাইয়াছিলেন । কিন্তু সে কাব্য এক্ষণে দুষ্পাপ্য । তাছার বিদ্যাসুন্দর এই ঘটনার পরে লিখিত হয়—কারণ ভণিতাতেই তাহ। প্রকাশ আছে । তবে এই বিদ্যামন্দরের শেষে অষ্টমঙ্গলা পাঠে বোধ হয় যে, তাঙ্গর অন্য কাব্যও ছিল । যাহা হউক, পরে যত দূর সম্ভব এ কথার মীমাংসা করা যাইবে । কবিরঞ্জনের জীবনের সহিত কুমারহট্রনিবাসী আচু্যত গোস্ব মীর ( কেহ কেহ বলেন অযোধ্যারাম গোস্বামী ) সহিত