পাতা:বিদ্যুৎ-তত্ত্ব শিক্ষক.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o বিদ্যুৎ তত্ত্ব শিক্ষক বৈদ্যুতিক বিকাশের বিপরীত বিকাশ পৃথিবীর কোন না কোন স্থানে থাকিতেই শুইবে । সমবিস্তৃতি বিস্ত্রাংকে পরিবর্তন করিয়া একস্থানে অধিক ও অপর স্থানে কম চাপাবস্থা ঘটাইতে পাবা যায় এবং বিষ্ক্যতেব স্থিতির স্থিরাবস্থা হইতে উক্ত গতিযুক্ত অবস্থায় লওয়া যায বা নিজেদের মধ্যে আকসণ ও ত্যাগক্রিয়ার দ্বারা ঘুর্ণায়মান গতিতে পরিণত করা যায়। এই সকল বৈদ্যুতিক অবস্থা লক্ষ্য করিলে বুঝা ঘাষ যে আমাদেব বিচ্যুৎ প্রস্তুতকারক যন্ত্ৰসকল এবং ব্যাটারি সকল বিদ্যুৎকে সমাবস্থ ও অবস্থা ইষ্টতে পৃথক করিয়া দিবার অবলম্বন মাত্র, এব- এই সকল অবলম্বন দ্বারা অবস্থা পরিবর্ধিত বিদ্যুৎ পুনঃ স্বীয সমবিস্তৃতি অবস্থায় প্রত্যান্তিন কালে বিভিন্ন কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়া থাকে । বিদ্যুৎ-ভরের অল্পদিনের মধ্যে বিশেষ উন্নতি সাধন কইয়াছে । ই হার ব্যবহাব, বিভিন্ন বিষয় ও ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে হইতেছে এবং তদনুযায়ী যন্ত্র সকল প্রস্তুত হইতেছে, কাজে কাজেই এই যন্ত্ৰ সকলের প্রস্তুত একটা প্রধান ব্যবসায়ের মধ্যে পরিগণিত হইয়াছে। একস্থান হঁতে বহুদূরে শক্তি বাহিত বা চালিত করিতে হইলে বেদ্যুতিক শক্তিই একমাত্র অবলম্বন । আলোক জালাইবার জন্ত, পাখা চালাইবার জন্য, খনি সকলের মধ্যে বিভিন্ন কাৰ্য্য করাইবার জঙ্ক, তারে সংবাদ পাঠাইবার জন্য, গাডি চালাইবার জন্ত, রোগের চিকিৎসা করিবার জন্ত, বিদ্যুৎ মানবের একটা প্রধান সহায় হইয়া উঠিয়াছে। আবার সঙ্গে সঙ্গে যতই দিন যাইবে ততই আমরা দেখিতে পাষ্টব যে বিদ্যুতের দ্বারা আরো কত প্রকার অসাধ্য সাধন ঘটিতে পারে। যাহারা বিদ্যুৎ-তত্ত্ব বিষয় জানিতে উৎসুক তাহাদিগকে আরো উৎসাহিত করিয়া বিশেষ রূপে যতদূর সম্ভবপর হয় ইহার বিচিত্রতার বিষয় অবগত করান হইবে। "