পাতা:বিদ্রোহী প্রাচ্য.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ौन b-° ইহাতে সন্দেহের যথেষ্ট কারণ আছে), কিন্তু এই কথা ভুলিলে নিতান্তই অন্যায় হইবে যে ১৮৫৮ অব্দ হইতে ১৯০২ অব্দে দ্ৰব্যদির মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পাইয়াছিল। অথচ ১৮৫৮ অব্দের নিৰ্দ্ধিারিত দামের উপরই ১৯০০ অব্দেও শুল্ক হিসাব করা হইত। ১৯০২ হইতে ১৯১৮ অব্দে যে দ্রব্যাদির মূল্য কি পরিমাণ বৃদ্ধি পাইয়াছে, তাহা বোধ হয় সকলেই জানেন । এই ব্যবস্থায় চীনের প্রতি নানাভাবে অবিচার করা হইয়াছে। (১) প্ৰত্যেক স্বাধীন রাষ্ট্রই নিজ সুবিধা ও আবশ্যকমত আমদানী-রপ্তানী শুল্কের হ্রাস-বৃদ্ধি করে। জাতীয় শিল্প ও ব্যবসায় রক্ষা করার পক্ষে ইহা নিতান্তই দরকার । কিন্তু চীনকে সেই অধিকার দেওয়া হয় নাই। (২) প্রকৃত মূল্য হইতে কম মূল্য নিদ্ধারিত হওয়াতেও শুষ্ক হইতে চীনের আয় অনেক কম হইয়াছে। এভাবে চীন সরকারের অর্থের অনটন বুদ্ধি পাইয়াছে এবং তাহার ফলেই বিদেশীদের নিকট হইতে ঋণ গ্ৰহণ করিয়া। তাহদের হাতের পুতুল হইয়া পড়িয়াছে। (৩) এই ব্যবস্থায় আর একটা মস্ত অন্যায় করা হইয়াছে। নিজের ইচ্ছা সত্ত্বেও চান আফিং এর উপর শুষ্ক বেশী করিতে পারে নাই। আফিং এর আমদানী একেবারে বন্ধ কবার চেষ্টা করিয়াছিল--কিন্তু ইংরাজের কামানের গুতায় সে তাহ পারে নাই। চীনের পক্ষে অপর উপায় ছিল আফিং এর উপর শুল্ক বেশী করিয়া, ইহার দাম চড়ান এবং কাজেই কাটুপ্তি কমান । কিন্তু সেই পথও তাহার নিকট রুদ্ধ ছিল। ইহাই হইল, খৃষ্টীয় সভ্যতার নিদশন।