পাতা:বিধবাবিবাহের নিষেধক.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ శ్రీ - বিধবার ধৰ্ম্মরক্ষণ । উরুদেশে শান্তিধারার ভগ্নমস্তকটী রাখিয়াছে, আ র কতকগুলি নারী চেলখণ্ড লইয়া রক্ত নিবারণের চেষ্টা করিতেছে, শাস্তিধারার অলপ অলপ শ্বাস বহিতেছে, দেখিবণমাত্ৰ যেন মৃতই বোধ হয় । রাজপুরুষ তখনি কতৃষ্ণ দুগ্ধ, বিন্দু বিন্দু করিয়া ওষ্ঠে দিতে কহিল, এক জন পদ তিকল্পে ডক্তর অ নিতে পাঠ।ইয়। সকলের সম্মুখে অণমূলক বৃত্তান্ত শ্রবণ করিতে লাগিলেন । কেহ কেহ কর্ণের নিকটে নাম ধরিয়া ডাকিতে লাগিল অজিতনাথ, মধ্যে মধ্যে মা ম৷ বলিয়া ডাকিতে লাগিল কতক্ষণের পর মুগদত্ত দুগ্ধ বিন্দুগুলিকে - এক বণর গলাধঃকরণ করিল আর কতক্ষণের পর মা, মা, বলিয়া ডাকিতে ডাকিতে নয়ন উন্মীলন করিয়া অজিতনাথের মুখ দেখিতে লাগিল ঐ সময়ে কিঞ্চিৎ চৈতন্য যোগ দেখিয়া রাজপুরুষ জিজ্ঞাসা করিল শান্তিধারা তোৰ কে ফেলিয়া দিয়াছে না অণপনি পড়িয়াছ কেন পড়িলে এই ৰূপ বার বার জিজ্ঞাসা করিলে, সেই রাজপুরুষের দিকে শাস্তিধারণ এক বার দৃষ্টিপাত করিল নয়নে ধারা বহিতে লাগিল যেন কিছু বলিতে চেষ্টা করিয়া স্পষ্ট কথা কহিতে পারিল না, আ রিও কতক্ষণ পরে এক বণর বলিল অামার হৃদয়ে, এই বলিয়া কিছুকাল চুপ করিয়া থাকিল আবার বলিল বেদনাতে আপনিই, এই বলিতে বলিতে উৰ্দ্ধ নয়ন হইল, ভাজিতনাথের মুখ দেখিতে দেখিতে ঈষৎ হাস্যমুখে প্রাণ ত্যাগ করিল, ঐ প্রকার মৃতু্য দেখিয়। সকলেই চমৎকৃত হইলেন, রাজপুরুষ বুঝলেন আপনিই মরিয়াছে । তখন তিনি দ হাদি করিবার অনুমতি দিয়া অজিতনাথের অনেক সাহায্য করিলেন, পরে যাহা হউক । এই-ইতিহাস অবশ্যই সত্য হইতে পারে, অতএব উক্ত পণ্ডিতসরের যুক্তি এই যে এক্ষুণে বিধবাৰিবাহ চলিলে প্রশ্ন সকল বিপরীই পঞ্চাশত কি ততোধিক বয়স পর্য্যন্ত