পাতা:বিধবাবিবাহের নিষেধক.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

jo বিধরাধৰ্ম্মরক্ষা । এক্ষণে বিবেচনা করুন মনুকুত ঔরস পুত্রের লক্ষণ বিবাহিত। বিধবার গৰ্ত্ত জাত পুত্রে যাইতে পারে কি না। যদি পারিত, তবে মনু বিধবা পুত্রের পৌনর্ভব সংজ্ঞা দিয়া পুত্র গণনা ক্রমে দশমস্থানে পরিগণিত করিতেন না, প্রকরণ দর্শনে স্পষ্ট বোধ হইতেছে ষে মনু দ্বাদশ প্রকার পুত্রের পৃথকৃ পৃথকৃ লক্ষণ করিয়া ঔরসপুত্রকেই মুখ্যপুত্র বলিয়াছেন এবং তাঁহারই পিতৃধনাধিকার ও । শ্রদ্ধাধিকার, তাহার অভাবে ক্ষেত্ৰজপুত্রের সমগ্র পিতৃধনাধিকার এব- শ্রাদ্ধাধিকার । ক্ষেত্ৰজ অবর্তমানে দত্রিমপুত্রের ঐ অধিকার, দত্রিম অবৰ্ত্তমানে কৃত্রিম পুত্রের অধিকার, কৃত্রিম অবৰ্ত্তমানে গুঢোৎপন্ন পুত্রের অধিকার, তৎপরে কানীন পুত্রের, তৎপরে সহোঢ় পুত্রের, তৎপরে ক্রীতক পুত্রের, তৎপরে বিধবাদি গৰ্বজাত যে পৌমর্ভব পুত্র তাহার অধিকার । তৎপরে স্বযন্দন্তু পুত্রের সর্বশেষে পরিশব পুত্রের পিতৃধনাধিকার এবং শ্রদ্ধাধিকার মনু কহিয়াছেন । ক্রমিক দ্বাদশ প্রকার পুত্রের পূর্বোক্ত পুত্ৰ বৰ্ত্তমান থাকিতে পরোক্ত পুত্র গণের অধিকার হইবেন, কেবল গ্রাসাচ্ছাদন পাইবেন । প্রকরণ পর্যালোচনায় ইহাই যদি নিশ্চয় হইল তৰে বিবাহিত স্বজাতীয়া বিধবার গষ্ট্রোৎপন্ন পুত্রকে ঔরসপুত্র বলা “স্বেক্ষেত্রে”—ইত্যাদি বচনের অভিপ্রায় কোন ক্রমে হইতে পারে না, কারণ এই বচন দ্বার মনু ঔরস পুত্রের লক্ষণ করিয়াছেন এই ঔরস ক্ষেত্ৰজ পুত্র প্রভৃতি নয় প্রকার পুত্র ম। থাকিলে পৌনর্ভব পুত্র ধনাধিকারি হইবে বলিয়াছেন । ঔরসাদি নয় পুত্রের নয়টি লক্ষণ করিয়া দশম পেীনৰ্ভব পুত্রের লক্ষণ করিলেন যথা । যা পত্যাব পরিত্যক্ত। বিধবাব স্বযেচ্ছয়।। উৎপাদয়েৎ পুনভূত্ব সপোন ভব উচ্যতে ॥ যে নারী পতি কর্তৃক পরিত্যক্ত কিম্বা বিধবা, স্বেচ্ছাক্রমে অন্যব্যক্তি কর্তৃক বিবাহিত হইয়। যে পুত্রকে উৎপাদন করে সেই পৌনর্ভব পুত্র, এখন বিবেচনা করিয়া দেখুন বিবাহিত। বিধবার গৰ্ব জাত পুত্র যদি ঔরস পুত্র মনুর মতে হইত তবে মনু ঔরসাদি নয় জন পূত্রের অভাবে বিধবা গৰ্বজাত যে পুত্র তাহার ধনাধিকার বলিতেন না । সৰ্ব্বাগ্রেই ধনাধিকার শ্রদ্ধা