পাতা:বিধবাবিবাহের নিষেধক.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবা ধৰ্ম্মরক্ষী । २६ গৰ্বজাত পুত্রকে ঔরস পুত্র বলিয়াছেন ও তদনুসারে শ্রদ্ধাধিকার ধনাধিকার ব্যবস্থা করিয়াছেন তাহাকে লইয়াই স্মৃতি শাস্ত্রের সৰ্ব্বদা মীমা^স করিতে হইবে । স্মৃতি বিরুদ্ধ পুরাণের অনুসারে স্মৃতুি শাস্ত্রের মীমাংসা কদাচই করা যাইবেন এ বিষয়ে পূৰ্ব্বে ও এক প্রমাণ কীৰ্ত্তিত হইয়াছে যথা দণঢfাৰ্থং দৃশ্যতে রূঢ়ে মানবং লিঙ্গমেবচ । ৰূচি শব্দের অর্থের দৃঢ় করণ বিষয়ে মনুবাক্যই অবলম্বনীয় দৃশ্য হইতেছে, ইহার দ্বার সুস্পষ্ট বোধ হইল যে স্মৃতি শাস্ত্রে ও কোন স্থানে যদি ঔরস শব্দের অন্যবিধ অর্থ প্রকাশ থাকিত তাহাকে ও পরিত্যাগ করিয়া মনুর নিৰূপিত অর্থই গ্রহণ করিতে হুইত তাহাতে মহাভারত যখন স্মৃতি শাস্ত্রের মধ্যে নয় এবং তাহাতে ও যে ঔরস শব্দের প্রয়োগ দেখা যাইতেছে সে ও অন্য কথা প্রসঙ্গে হুইয়াছে ঔরস শব্দের অর্থ নিশ্চয় করিবার উদ্দেশে ঔরস শব্দের প্রয়োগ হয় নাই অতএব মহাভারতে বিধবর পুত্র যে ঔরস পদের প্রতিপাদ্য হইয়াছে তাছাকে ঔরস পদের লক্ষ্যার্থ বলিতে হইবে প্রকৃত ঔরস পুত্র, স্বয়ং কর্তৃক উৎপাদিত বলিয়া, যেমন অধিকতর স্নেহ ভাগী হয় বিধবার পুত্র ও তেমনি আত্মজাত বলিয়া অধিক স্নেহভাগী অতএব ঔরস পুত্রের গুণযুক্ত বলিয়া গৌণ ঔরস ছুইল কিন্তু মনুর নিরূপিত যে সধবার পুত্র ৰূপ ঔরস সেই মুখ্য ঔরস তাছাকে লইয়াই সমুদয় স্মৃতি শাস্ত্রে ঔরস পুত্রের ব্যবস্থা করিতে হইবে ইহাতে আর অনুমাত্রই সংশয় রহিল না । e - বিদ্যাসাগর মহাশয় কেবল আত্মবুদ্ধি বলে পৌনর্ভব শব্দের পুনভু” এই অর্থ স্থির করিয়া বলিয়াছেন যে বাগদত্ত প্রভূতি কএক প্রকার পুনভূর বিবাহ সচরাচর, চলিতেছে তাদৃশ স্ত্রীকে পুনভু বলিয়া কেছ বলেন না এব• তাদৃশ গৰ্ত্তঞ্জত স্ত্রীর পুত্রকে পৌনর্ভৰ বলিয়া ও কেহ বলেন ন সকলেই সেই পুত্রকে ঔরস পুত্র বলিয়াই ব্যবহার করিতেছেন কেছ ভুলিয়া ও পৌনর্ভব বছলন না f

  • ॥ ৬২ ৷

3