পাতা:বিধবাবিবাহের নিষেধক.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবারধৰ্ম্মরক্ষণ । ৩৫ সংবাদ বলুন কিঞ্চিৎ সাধারণ সংবাদ বলুন; তখন সেই জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি তাবশ্যই সেই জিজ্ঞাসার তাৎপৰ্য্য গ্রহণ করিবে, যে এ ব্যক্তি গ্রামের সমুদায় সংবাদই জিজ্ঞাসা করিল, এবং অন্যান্য গ্রামেরও কিঞ্চিং °জিজ্ঞাসা করিল, অতএব স্বগ্রামের সমুদায় সংবাদই ইহাকে বলিতে হইবে, পাশ্ববৰ্ত্তি গ্রামের যাহা হউক কিছু বলিতে হইবে পর শরসংহিতাতে ব্যাসদেব যে, পিতাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছেন তাহ (রও তাৎপৰ্য্য ঐ ৰূপ বলিতে হইবে, লৌকিক বাক্যে শাস্ত্রীয় বাক্যে ভাষার মাত্র ভিন্নতা, ভাবগ্রহণের সর্বত্রই এক প্রকার রীতি তাতএব এ বিষয়ে অ fর অধিক বলিবার অবশ্যক নাই ; বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ব্যাখ্যানুসারে যে কিঞ্চিৎ পদ, গণ্ডোপরি বিস্ফোটকের ন্যায় দোষোপরি দোষ জনক হইয়াছিল, সেই কিঞ্চিৎ পদ এই মন্দমতিদের ব্যাখ্যাতে এই ক্ষণে মুকুটের উপরিভাগে মণিমালার ন্যায় শোভা প্রাপ্ত হুইতেছে কি না ; তাত। বিবেচনা করিয়া দেখিবেন ; অতএব পর শেরসংহিতার যে বচনকে অবলম্বন করিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় পরাশর সংহিতাকে কেবল কলিযুগের ধৰ্ম্মশাস্ত্র বলিয়াছেন; বিশিষ্ট্র বিবেচনা করাতে সেই বচন তাহার মতের পোষক না হইয়া পরাশর যে চতুযুগের ধৰ্ম্ম বলিয়াছেন এই পক্ষেই পোষক হইতেছে ; এবং এই জিজ্ঞাসা বচনের পরেই পরাশর য{হা উত্তর দান করিতেছেন সেই উত্তরবাক্যের অনেক স্থানেই চতুযুগের ধৰ্ম্ম নিরূপণ হওয়াতে ঐ পোষকতা বলবতী হইয়াছে, কি না ইহা জানাইবার নিমিত্তে সংহিতার সেই অংশ উদ্ধত হইতেছে । যথা ব্যাস বক্যাবসানেতু মুনিমুখ্যং পরাশঙ্ক: । ধৰ্ম্মস্য নির্ণয়ং প্রাহ স্থলং স্থম্মঞ্চ বিস্তরাৎ ॥ ব্যাসের বাক্যাবসান হইলে মুনিশ্রেষ্ঠ পরাশর স্থল এবং সুক্ষ ধৰ্ম্ম বিস্তর ৰূপে বলিয়াছিলেন । এই বচনের পর শৃণু পুত্র। ইত্যাদি বচন দ্বারা পরাশর, ধৰ্ম্ম নিৰূপণের প্রতিজ্ঞা করিলেন ; তদনন্তর এই বচন, যথা । নকশ্চিৎ বেদকর্তাচ বেদস্মৰ্ত্ত চতুমুখঃ , তথৈব ধৰ্ম্মং স্মরত মনুঃ কল্পান্তরাস্তরে ॥