পাতা:বিধবাবিবাহের নিষেধক.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবারধৰ্ম্মরক্ষী । woጫ গত হইতে পারে ; কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয় এই সকল বচনকেও মাত্র কলিধন্মের বচন বলিয়াছেন, তাহাতে এই ৰূপ ব্যখ্যা করিয়াছেন ; যথা । - “ অন্যে কত যুগে ধৰ্ম্মস্ত্রেতায়াং দ্বাপরে পরে। অন্যে কলিযুগে নৃণাং যুগরূপানুসারত । যুগৰূপানুসারে মন্তষ্যের সত্য যুগের ধৰ্ম্ম সকল অন্য, ত্রেত যুগের ধৰ্ম্ম সকল অন্য, দ্বাপর যুগের ধৰ্ম্ম সকল অন্য, কলি যুগের ধন্ম সকল অন্য । পরাশর এই রূপে যুগানুসারে মনুষ্যের শক্তি হ্রাস হেতুক প্রত্যেক যুগের ধৰ্ম্ম সকল ভিন্ন ভিন্ন এই ব্যবস্থা করিয়া যুগে যুগে মনুষ্যের শক্তিহাসের প্রবৃত্তি ভেদের উদাহরণ প্রদর্শন করাইবার নিমিত্ত্বে পরবৰ্ত্তি কতিপয় বচনে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি এই চার যুগের ধৰ্ম্ম কথা লিখিয়াছেন ' . . এই ব্যাখ্যা কত দূর অসঙ্গত তাহা বিসেচন করুন । তপঃ পরং কৃত যুগে ইত্যাদি নয়টা বচনেই চারচরণে চার যুগের ধৰ্ম্ম যাহা কথিত হইয়াছে, বিদ্যাসাগর মহাশয় তন্মধ্যে সত্য, ত্রেত, দ্বাপর যুগের ধৰ্ম্ম প্রকাশক তিন তিন চরণকে, কেবল উদাহরণ প্রদর্শনার্থে বলিয়াছেন ; আর কলি শব্দ ঘটিত এক একটা চরণকে মাত্র ধৰ্ম্ম নিৰূপণার্থ বলিয়াছেন । ইহাতে আমার বক্তব্য এই যে, স্মৃতি শাস্ত্র বেদের তুল্যই বেদে অার স্মৃতিতে ভাষা মাত্রের বৈলক্ষণ্য আছে, ফল তারতম্য কিছুই নাই ; অতএব ঐ উভয়ই সমান বিশ্বাস ভূমি, বেদশাস্ত্র প্রভ সম্মিত অর্থাৎ প্রভ, যেমন ভৃত্যকে ইহা কর, ইহা করিবে না ; এই মাত্র বলেন সেই করা না করার প্রতি কোন যুক্তি কিম্বা কোন হেতু প্রদর্শন করা নাই ; বেদ শাস্ত্রও সেই প্রকার, ইহাতে স্থপ্রসিদ্ধ প্রমাণ যথা। নিরপেক্ষ রবা শ্রুতিঃ । , বেদশাস্ত্র কোন রবকে অপেক্ষ করেন না; অর্থাৎ যাই কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম তন্মাত্রই বেদ, বলেন যুক্তি বা হেতু কিঞ্চিম্মাত্রও বলেন না। ঐ বেদার্থের স্মরণ করিয়া ঋষিগণ যে স্মৃতিশাস্ত্ৰ কহিয়াছেন তাহাঁতেও ঐ ৰূপ ব্যবহার অাছে হেতু বা যুক্তি প্রদর্শন নিষ্প-. য়োজন, রিশেষতঃ পুরাশরসংহিতা বিস্ত ত পুস্তক নয়, চপর।