পাতা:বিধবাবিবাহের নিষেধক.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

es বিধবাধৰ্ম্মরক্ষ{ { পিতৃঋণ হইতে বিযুক্ত হইবার জন্যেই শ্বাস্ত্র বিধানে দারা পরিগ্রহ করিতে হয়, অতএব বিধবার পুত্রকে কলি যুগে অব্যবহার্য্য করিয়া অনন্তর আবার চারটি বচনের পরেই যে বিধবার পুনৰ্ব্বিবাহ বোধক বচন আছে এই বচনকে কলি যুগে বিধবাদিগের বিবাছার্থে পরাশর বলিয়াছেন, পরাশরের এই ৰূপ তাৎপর্য্য নিশ্চয় কয়। অপেক্ষা পরাশরকে উন্মত্ত বলিলেও অামার বোধ হয় কটুক্তি · হইত ন৷ অতএব প্রথম বিধি, সংহিতার ব্যাখ্যা করিতেছেন যে মাধবাচার্য্য যিনি বহুকাল মৃত হুইয়াও পাণ্ডিত্য প্রভাবে অদ্যপি ও যান জীবিত রহিয়াছেন যাহার কৃত ভুরি ভুরি গ্রন্থ পণ্ডিত সমাজে বেদবৎ মাননীয় হইতেছে তাহার কেনই বা বোধ হইবে ন। যে এই পুনরুদ্বাহ কলি যুগের নয় যুগান্তর ধৰ্ম্মই পরাশর বন্ধুি য়াছেন অতএব মুক্ত কণ্ঠেই মাধবাচার্য্য বলিয়াছেন যে “ অয়ঞ্চ পুনরুদ্ধছে। যুগান্তর বিষয়ঃ তথা গদি পুরাণং— উঢ়য়াঃ পুনৰুদ্বহং জ্যেষ্ঠাংশং গোবধং তথ। কলে পঞ্চ নকুৰ্ব্বতি ভ্ৰাতৃ জায়াৎ কমণ্ডলুং ॥ অর্থাৎ এই পুনর্বিবাহ যুগান্তর বিষয় কলি যুগের নয়। সেই প্রকার আদি পুরাণে বিবাহিতার পুনর্বিবাহু, জ্যেষ্ঠাণশ, গোবধ, ভ্রাতু ভাৰ্য্যায় পুত্রে ৎপাদন, কমণ্ডলুধারণ, কলিতে এই পাচ কৰ্ম্ম করিবেক না এই প্রমাণ দিয়াছেন, মাধবাচার্য্যের উপর বিদ্যাসাগর মহাশয় আর একটি দোষ দিয়াছেন যথ। । মাধবাচার্য্য বিবাহ, ব্রহ্মচৰ্য্য, সহমরণ বিষয়ক বচনত্রয়ের যে আভাস দিয়াছেন বিবাহ বিষয়ক বচনকে যুগান্তর বিষয় বলিলে ঐ তিন আভাস কোন ক্রমে সংলগ্ন হয় না যথা ! পরিবেদন পর্য্যাধনযোরিব স্ত্রীণাং পুনরুদ্ব ছ স্যাপি প্রসদtৎ কচিদভ মুজ্ঞাং দশরত নষ্টে মুতে ইত্যাদি । জ্যেষ্ঠ সত্ত্বে কনিষ্ঠের বিবাহ এবং অগ্নিহোত্রযাগের ন্যায় স্ত্রীগণের পুনর্বিবাহেরও প্রসঙ্গ ক্রমে কোন কোন স্থলে অনুমতি দেখাইতেছেন, স্বামির অনুর্দেশ মরণাদি পাঁচ প্রকার অপদেস্ত্রীষ্মণ পুনৰ্ব্বার অন্য পতিকে বিবাহ করিবেক ।