বিধবাধৰ্ম্মরক্ষা। tà কার্য স্বামির অনুদ্দেশ হইলে ব্রাহ্মণ জাতীয়াস্ত্রী আই বৎসর প্রতীক্ষা করিবেক যদি সন্তান না হইয়া থাকে তবে চার বৎসর, তাহার পর অন্য পতিকে আশ্রয় করিবেক ক্ষত্রিয় জাতীয়াস্ত্রী ছয় বৎসর অপেক্ষা করিবেক যদি সন্তান না হইয়া থাকে তবে তিন বৎসর, বৈশ্য জাতীয়াস্ত্রী চারি বৎসর অপ্রস্থত হইলে দুই বৎসর, শূদ্র জাতীয়াস্ত্রীর প্রতীক্ষার কাল নিয়ম নাই উদেশ না। থাকিলেও যদি জীবিত আছে বলিয়া শুনিতে পাওয়া যায় তবে পুর্বোক্ত কালের দ্বিগুণ কাল প্রতীক্ষা করি বে ব্রহ্মার এই মত এই হেতুক স্ত্রীদিগের অন্য পতিকে বিবাহ করায় দোষ নাই। এই নারদ সংহিতাতে অনুদ্দেশাদি পঞ্চস্থলে স্ত্রীদিগের পুনর্বিবাহের বিধি বলিয়াই অনুর্দেশ স্থলে পতির আগমন সম্ভাবনায় কোন স্ত্রী কত কাল প্রতীক্ষা করিবেক তাহাও ব্যবস্থা করিলেন নারদ সংহিতা মনুসংহিতার অন্তর্গত বলিয়। নারদ সংহিতার ব্যবস্থাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মতে কেবল সত্য খুঁগের ব্যব: স্থাই বলিতে হইবেযে হেতুক কৃতেতু মানবধর্মীঃ ত্রেতায়াং গৌতমীঃ স্মৃতীঃ । দ্বাপরে শংখ লিখিতঃ কলেী পারাশরাঃ স্মৃতীঃ ॥ এই বচনের তিনি এই অর্থ করিয়াছেন যে, মনুর নিৰূপিত ধৰ্ম্মই সত্য যুগের ধৰ্ম্ম গৌতমের নিৰূপিত ধৰ্ম্মই ত্রেতা যুগের ধৰ্ম্ম শংখ লিখিতের নিৰূপিত ধৰ্ম্মই দ্বাপর যুগ ধৰ্ম্ম পরাশর, নিৰূপিত ধৰ্ম্মই কলির ধৰ্ম্ম । - এই অর্থানুসারে মনুর ব্যবস্থাকে কেবল, সত্য যুগের ব্যবস্থাবলিতে হইবে সত্যযুগে পৌনর্ভব সন্তান বিহিত ছিল দ্বিতীয়বার বিবাহও বিহিত ছিল অতএব অনুদেশে কোন স্ত্রী কত কাল প্রতীক্ষা করিবে তাহার নিয়মও করিয়াছেন কিন্তু পরাশর নিজ সম্প্রহিতায় সেই বচনটি মাত্র বলিলেন কাল'নিয়ম কিছুই করিলেন: না ইহাতে নারদোক্তকাল নিয়মই আছে একথা কোন মতেই: বল। য়ায় না যে হেতুক সে সত্য যুগের ধৰ্ম্ম কলি যুগের মনুষ্যের সভ্য যুগাপেক্ষায় অনেক অংশে নু্যন ধৰ্ম্ম হওয়াই উচিত হয় মাধবাচাৰ্য্যও পূৰ্ব্বে লিখিয়াছেন যথা- -
