পাতা:বিধবাবিবাহের নিষেধক.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা । ১২৬২ শালে শ্ৰীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় বিধবাবিবাহ নামক যে পুস্তক প্রকাশ করিয়াছিলেন, তৎকালে তাহ। আমার আলোচিত থাকে না, ইহার কারণ, সে সময়ে আমি অধ্যয়ন কার্য্যে ব্যাপৃত ছিলাম । কতক উপেক্ষাও আমার ছিল । পরে দেখিতে থাকিলাম বিধবাবিবাহের উল্লেখে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রশংসা অনেকে করেন নিন্দ ও • অনেকে করেম, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনেকানেক বিশুদ্ধ গুণের পরিচয় লাভে আমার হৃদয় একান্তই তাহার প্রতি অনুরক্ত ছিল সুতরাতাহার নিন্দশ্রেবণ আমার অসহ্য হইতে থাকিল। বিবেচন৷ করিলাম · বিদ্যাসাগর ও মহাশয় ও বিধবাবিবাহকে ৪ শাস্ত্রসম্মত কাৰ্য্য বলিয়া প্রতিপন্ন করিয়াছেন এক্ষণে সেই বিষয় পর্য্যালোচনা করিয়া দেখি—যদ্যপি সরল ভাবে শাস্ত্রানুসন্ধান করিয়া সঙ্গত বিচার দ্বারায় শাস্ত্র সিদ্ধ করিয়া থাকেন, তবে অবশ্যই তাছা অঙ্গীকার কব্রুিয়া লইব এব^ ধাৰ্ম্মিক হিন্দু সমাজে সৰ্ব্বদাই মুক্তকণ্ঠে ঐ কথার প্রচার করিয়া সকল ব্যক্তিকেই ঐ ব্যবহার স্বীকার করাইতে যত্ন করিব । আর যদ্যপি ৰিধবtবিৰাহে শাস্ত্ৰকৰ্ত্তাদিগের যথার্থ তাৎপৰ্য্য না থাকে, বিদ্যালাগর মহাশয় কেবল চতুরতা করিয়াই বিধবাবিবাহের শাস্ত্রীরতা প্রতিপাদন করিয়া থাকেন, তবে তাকার নিন্দ কারিদিগকেই সুতরা৯ সাধু বলিয়া সন্মানিত করিতে হইবে এই নিশ্চয় করিয়া, বিদ্যাসাগর প্রণীত পুস্তকের আদ্যোপান্ত মালোচনা করিয়া; দেখিলাম, যেসকল প্রমাণ দিয়াছেন এব^ ভ{ংশ্লি"বে"ষে প্রকার: ব্যাখ্যা করিয়াছেন তাহ। আপাতত দেখিলেই বিধৱান্ত্রিবাহকে শাস্ত্রানুমত কার্ষ্য বলিয়া বোধ হইতে পারে---কিন্তু ৰেই সকল্প বচনের প্রকরণ পর্ম্যালোচনা করিয়া-দেখিলে 'কলিযুঞ্জে মুঙ্গুষ্য