বিধবtধৰ্ম্মরক্ষা । ';\రీ হইতেছে। সুতরীপ সে সমুদয় কলিযুগের ধৰ্ম্ম হইতে পারে না যখন পরাশর, সংহিতাতে সেই অশ্বমেধাদি যজ্ঞের বিধি আছে তখন যুগগ্ৰস্তরীয় ধৰ্ম্মও পরাশর স~হিতায় আছে ইহা সুতরাং প্রতিপন্ন হইতেছে । এই আপত্তি নিবারণ করিতে হইলে অগ্রে ইহাই নিৰূপণ করা অবশ্যক যে বৃহন্নারদীয় পুরাণে আদিত্য পুরাণে ষে সকল নিষেধ আছে সে সকল কলিযুগে পূৰ্ব্বাপর নিষেধ বলিয়। প্রতিপালিত হইয়া আসিতেছে কিনা আমাদের আচার ব্যবহারের ইতিহাস গ্রন্থ নাই সুতরা^ এ বিষয়ে অনুসন্ধান করিয়া সম্পূর্ণ ৰূপে কৃতকার্য হওয়া অসম্ভব কিন্তু সবিশেষ অনুসন্ধান করিয়া যতদূর কৃতকাৰ্য্য হইতে পারা যায় তদনুসারে ইহ স্পষ্ট প্রমাণ হইতেছে আদি পুরাণ বৃহন্নারদীয় পুরাণ আদিত্য পুরাণের ঐ সমস্ত নিযেধ প্রতিপালিত হয় নাই ঐ তিন গ্রন্থে যে সকল ধৰ্ম্ম কলি যুগে নিষিদ্ধ, বলিয়া নির্দেশ আছে কলিযুগে সে সকল ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান হইয়াছে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে যখন নিষেধ সত্ত্বে সে সকল ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান হুইয়া আসিতেছে তখন ঐ সকল নিষেধ প্রকৃতৰূপে প্রতিপালিত হইতেছে ইহা কি প্রকারে প্রতিপন্ন হইতে পারে ? বিবাহিতার বিবাহ, জ্যেষ্ঠাংশ সমুদ্র যাত্রা, কমণ্ডলু ধারণ দ্বিজাতির, ভিন্ন জাতীয় স্ত্রীবিবাহ, দেবর দ্বারা পুত্রোৎ পাদন, মধুপৰ্কে পশু বধ, শ্রাদ্ধে মাংস ভোজন, বানপ্রস্থ ধৰ্ম্ম একজনকে কন্যা দান করিয়া সেই কন্যার পুনরায় অন্য বরে দান, দীর্ঘকাল ব্রহ্মচৰ্য্য, গোমেধ, নরমেধ, অশ্বমেধ, মহাপ্রস্থান গমন, অগ্নি প্রবেশ, ব্রাহ্মণের মরণান্ত প্রায়শ্চিত্ত, দত্তক ও ঔরস ভিন্ন পুত্র পরিগ্রহ, চরিত্র ও বেদাধ্যয়ন অনুসারে অশৌচ সংকোচ, শূদ্র জাতির মধ্যে দাস নাপিত গোপালাদির অন্ন ভক্ষণ ইত্যাদি কতক গুলি ধৰ্ম্ম কলিযুগে নিষিদ্ধ-বলিয়া আদি পুরাণে । বৃহন্নারদীয় পুরাণে ও আদিত্য পুরাণে উল্লেখু আছে তন্মধ্যে কলিযুগে অশ্বমেধ, অগ্নি প্রবেশ, কমণ্ডলু ধারণ, দীর্ঘকাল ব্রহ্মচর্য্য, সমুদ্র যাত্রা, মহাপ্রস্থান গমন, ও বিবাহিত্যুর বিবাহ এই কএক ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠা ন হইয়াছে তাহার স্পষ্ট প্রমুণে পাওয় যাইতেছে যথা, কলিযুগের ৬৫৩ বৎসর গত হইলে পাণ্ডরের
