পাতা:বিধবার ছেলে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰজনাথ ! এ একটা উপায় বটে। তোমার অসাধ্য কৰ্ম্ম নাই দেখছি। লোকে তোমাদের ডাংপিটে বলে, এমন ডাংপিটে ত ভাল ! মহেশ। আমরা কাজ করি, আপনারা পিছন থেকে উৎসাহ দিন ; উবুন্ধর झoोंम अभिालव्र अख्ांद थांकूव ना । (অতঃপর মহেশ বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য কোমর বাধিয়া লাগিয়া গেলেন ; যুবক বন্ধুদিগকে সঙ্গে লইয়া বাড়ী বাড়ী ঘূরিতে লাগিলেন। গৃহস্থদের মধ্যে কাহারও কাহারও বালিকাবিদ্যালয়ের প্রতি প্ৰবল আপত্তি, কিন্তু অধিকাংশের ঔদাসীন্য ভাব। সকলেই বলে-“এ আবার কি ? মেয়েদের লেখাপড়া কেন ?” এই তর্কে তর্কে অনেক সময় যাইতে লাগিল। অবশেষে কতিপয় পরিবারের লোক আপনাদের মেয়েদিগকে স্কুলে পাঠাইতে রাজি হইলেন। সেই মেয়ে কয়টি লইয়া স্কুল খোলা হইল। মহেশ আপনার ভগ্নী তারাকে প্ৰথম ছাত্রীদের মধ্যে একজন করিয়া দিলেন। মাসে দুই টাকা বেতন দিয়া একজন ঝি রাখিলেন ; সে সকাল বিকাল আসিয়া বাড়ী বাড়ী হইতে মেয়ে আনিতে ও ঘরে পৌছাইয়া দিতে লাগিল। এইরূপে সকল কাজের মধ্যে মহেশের একটা কাজ বাড়িয়া গেল । সপ্তাহের মধ্যে তিন চারি দিন বৈকালে স্কুলে গিয়া মেয়েদের সঙ্গে গল্প করা, হান্ত কৌতুক করা, গান করিয়া শোনান ও গান শেখান, স্কুল ভাঙ্গিলে পণ্ডিতের সঙ্গে মেয়েদিগকে লইয়া বাবুদের বাগান ট্যাগান দেখিতে লইয়া যাওয়া প্রভৃতি কাজ আরান্ত হইল। গ্রামের লোক বলিতে লাগিল-“বাপারে বাপ, মহেশের কি নেশা লেগেছে! মেয়ে স্কুল মেয়ে স্কুল করে পাগল হয়ে উঠল দেখছি!” এদিকে মেয়েরা আনন্দে উল্লাসে পূর্ণ হইতে লাগিল; স্কুলে আসিবার জন্য ব্যস্ত ; থাইতে একটু দেরি হয়, তা যেন সহ হয় না; মায়েরা বলেন -“ভাল ত মহেশ ভট্টচাযিার