SA ਫ਼o তাহার ক্রুদ্ধ ভাব লক্ষ্য করিয়া অন্নপূর্ণ ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, সিদে দিচ্চি। একেবারে এত উতলা হোসনে ছোটবৌ! আচ্ছা, ছেলে কি তোর বড় হবে না ? তুই কি চিরকাল তাকে আঁচল-চাপা দিয়ে রাখতে পারুবি ? এটা ভাবিস কেন ? ছোটবৌ সে কথার জবাব না দিয়া বলিল, কদম, সিদে দিয়ে গুরুমশাধের পায়ের ধূলো একটু তার মাথায় দিয়ে, ছেলে ফিরিয়ে আন গে। তঁাকেও একবার বিকাল বেলা আসতে বলিস। যে বুঝবে না, তাকে আর বোঝাব কি ক’ৱে ? বলচি, ছোটটি পেযে যদি কেউ মার-ধোর করেনা, চিরকাল কি তুই আঁচল-চাপা দিয়ে রাখতে পাবুবি ? কি পাবুব না পাবুব, সে পরামর্শ ত নিতে আসি নি। বলিয়া সে উত্তরের জন্য অপেক্ষা না করিয়া হন হন করিয়া চলিয়া গেল। অন্নপূর্ণ। অবাক হইয়া দাড়াইযা বুহিলেন। , কদম বলিল, আব্ব দাডিযে থেকে না মা, হয় তা এখনি আবার এসে পড়বেন। উনি যা ধ’রেচেন, বিধাতা পুরুষেরও সাধ্যি নেই যে তা রিদ করেন । সেহি দিন সন্ধ্যার পর বড়কর্তা আফিঙ খাইয়া শয্যার উপর কাত হইয়া শুইয়া গুড গুডির নল মুখে দিয়া নেশার পৃষ্ঠে চাবুক দিতেছিলেন, এমন সময় দরজার শিকলটা ঝন ঝন করিয| নড়িয়া উঠিল। যাদব কষ্টে চোখ খুলিয়া বলিলেন, কে ও ? অন্নপূর্ণ ঘরে ঢুকিয়া বলিলেন, ছোটবৌ কি বলতে এসেছে, শোন। যাদব ব্যস্ত হইয়া উঠিয়া বসিয়া বলিলেন, ছোটমা ? কেন মা ? ছোটবেীকে তিনি অত্যন্ত ভালবাসিতেন। ছোটবীে কথা কহিল না, তাহার হইয়া অন্নপূর্ণা বলিয়া দিলেন, ওর ছেলের চোখে পোড়োর কলমের খোচা মাৰ্ববে, তাই বাড়ীর মধ্যে একটা পাঠশালা ক’রে দিতে হবে।
পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০
অবয়ব