পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামোৱা পচনেভি মাছ ধ’রেচে। ত সাত গুষ্টি মিলে কবৃচে কি দেখা না! একে লুকিয়ে ফেলবি, বামুন খাবে না ? নেত্য বলিল, তোমার বামুন খাবে দুটাে আড়াইটার সময়, ঢের সময় আছে। ছোটবাবু আগে ইস্কুলে যাক, না হ’লে আজ আর কেউ বঁাচাবে না। ও মা ! ভোলা এই দাড়িয়েছিল, সে গেল কোথায় ? সে বুঝি তবে খবর দিতে ছুটেছে! যা হয় কর মা, আর দাড়িয়ে Cर्थgका क्रा । ভগা চার আনা পয়সার লোভে জল চাহিয়া আনিয়াছিল, ব্যাপার দেখিয়া নগদ আদায়ের আশা ছাড়িয়া জাল লইয়া প্ৰস্থান করিল। প্ৰয়োজন হইলে, কখন কোন স্থানে রামকে পাওয়া যাইবে, ভোলা তাহা জানিত। সে ছুটিয়া গিয়া বাগানের উত্তর-ধারের পিয়ারাতলায় আসিয়া উপস্থিত হইল। রাম একটা ডালের উপর বসিয়া পা ঝুলাইয়া পিয়ারা চিবাইতেছিল, ভোলা হাঁপাইতে ই পাইতে বলিল, দেখবে এস দা’ঠাকুর, ভগা তোমার কাৰ্ত্তিককে মেরেচে। রাম চিবানো বন্ধ করিয়া বলিল, যাঃসত্যি দা’ ঠাকুর । মা হুকুম দিয়ে ধরিয়েচে, এখনো উঠনে পড়ে আছে ; দেখবে চল। রাম ঝুপ করিয়া লাফাইয়া পড়িয়া দৌড়িল, এবং ঝড়ের বেগে ছুটয়া আসিয়া উঠানের মাঝখানে একবার থমকিয়া দাড়াইয়া চীৎকার করিয়া উঠিল, ওগো, এই তা আমার গণেশ! বৌদি, তুমি হুকুম দিয়ে আমার গণেশকে ধরালে! বলিয়াই মাটীর উপর উপুড় হইয়া পড়িয়া কাটাছাগলের মত সে পা ছুড়িতে লাগিল। শোকটা যে তাহার কিরূপ সত্য, কিরূপ দুৰ্দাম, সে বিষয়ে দিগম্বরীরও বোধ করি সংশয় রহিল না। তাহাকে খাওয়াইবার জন্য রাত্রে নারায়ণী টানাটানি করিতে