পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਜਿਫ਼ ਫ فصوصيته আমার পেট কামড়াচ্চে যে! নারায়ণী জ্বলিয়া উঠিয়া বলিলেন, তাই ভাত খেয়ে উঠে কঁচা পিয়ার চিবোচ্চ ? দিগম্বরী মেয়ের গলা শুনিয়া ছুটিয়া আসিয়া বলিলেন, হারামজাদা ছোড়া আমার বাপ তোলে! বলে, নাবিব কেন—তোর বাপের গাছ ? নারায়ণী চােখ তুলিয়া বলিলেন, বলেছিস্ ? রাম চোখ-মুখ কুঞ্চিত করিয়া বলিল, না বৌদি, বলিনি। দিগম্বরী চোচাইয়া উঠিলেন, বলিসনি হারামজাদা ! নেত্য সাক্ষী আছে। তার পর মুখ বিকৃত করিয়া, সানুনাসিক সুর করিয়া বলিতে লাগিলেন, সেদিন যখন বেতের উপর বেত পড়েছিল, তখন-আঁর কঁবুব না বৌদি-পায়ে পড়ি বৌদি-মরে গেলুম বৌদি,-চেপে ধ’বুলে চিচি কর, আর ছেড়ে দিলে। লাফ মার, হারামজাদ ! রাম আর সহ্যু করিতে পারিল না । তাহার হাতে একটা বড় কঁচা পিয়ারা ছিল-ধা করিয়া ছুড়িয়া মারিয়া দিল। সেটা দিগম্বরীকে স্পর্শ করিল না, নারায়ণীর ডান ভ্ৰদ্ধর উপরে গিয়া সজোরে আঘাত করিল। এক মুহূৰ্ত্তের জন্য চোখে অন্ধকার দেখিযা তিনি সেইখানেই বসিয়া পড়িলেন। দিগম্বরী ভয়ঙ্কর চেঁচামেচি করিয়া উঠিলেন, নেত্য কাজ ফেলিয়া ছুটিয়া আসিল, রাম গাছ হইতে লাফাইযা পড়িয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড় মারিল। দুপুরবেল শ্যামলাল স্নানাহার করিতে আসিযা দেখিলেন বিষম কাণ্ড । নারায়ণী নিজীবের মত বিছানায়ু পড়িয়া আছেন, র্তাহার ডান চোখ ফুলিয়া ঢাকিয়া গিয়াছে। তাহার উপর ভিজা ন্যাকড়ার পটি বাধিয়া নেত্য পাখা লইয়া বাতাস করিতেছে। দিগম্বরী আজ আর আড়ালে গেলেন না, সামনেই চীৎকার করিয়া কঁাদিয়া বলিলেন, রাম মেরে ফেলেচে নারাণিকে ।