বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

feszkā C2Ci పాషా বিন্দুর রাগ হইয়াছিল বটে, কিন্তু অন্নপূর্ণার কথার ভঙ্গিতে সে হাসিয়া ফেলিল। বলিল, কৈ, তুমি ত ভয় কর না! অন্নপূর্ণ বলিলেন, করি নে আবার! তোমার রণচণ্ডী মূৰ্ত্তি দেখলে যার বুকের রক্ত জল হ’য়ে না যায় সে এখনো মায়ের পেটে আছে! কিন্তু অত রাগ ভাল নয় ছোটবৌ! এখনো কি ছোটটি আছিস ? ছেলে হ’লে যে এতদিন চার-পাঁচ ছেলের মা হাতিস ; আর তোকেই বা দোষ দেব কি, ঐ বুড়ো মিনিসেই আদর দিয়ে তোর মাথা খেলে! বিন্দু বলিল,কপাল নিয়ে যে জন্মেছিলুম দিদি, সে কথা তোমার মানি ; ধন-দৌলত, আদর-আহলাদ অনেকেই পায়, সেটা বেশি কথা নয়, কিন্তু LD LDDBuD BDD DB DBD SLBDBDS DBDDDBBDB BDD DDBBB DBDBKDB DDD থাকা চাই! আমার অদৃষ্ট দিদি, তুমি হিংসে ক’রে কি কবৃবে ? কিন্তু আদর দিয়ে তিনি ত মাথা স্নান নি, আদর দিয়ে যদি কেউ মাথা খেয়ে থাকে ত সে তুমি। অন্নপূর্ণ হাত নাড়িয়া বলিলেন, আমি ? সে কথা কারো বলবার যে নেই। আমার শাসন কড়া শাসন-কিন্তু কি করুব, আমার কপাল মন্দ, কেউ আমাকে ভয় করে না—দাসী-চাকর গুলো পৰ্য্যন্ত মুখের সামনে দাড়িয়ে সমানে ঝগড়া করে, যেন তারাই মনিব, আর আমি দাসী বাদী ! আমি তাই সৃ’য়ে থাকি, অন্য কেউ হ’লে- র্তাহার এই উল্টা-পাণ্টা কথায় বিন্দু খিলখিল করিয়া হাসিয়া ফেলিল। বলিল, দিদি তুমি সত্য-যুগের মানুষ, কেন মৰ্বতে একালে এসে জন্মেছিলে ? কই, আমার সঙ্গে ত কেউ ঝগড়া করে না ? বলিয়া সহসী। সুমুখে আসিয়া হাঁটু গাড়িয়া বসিয়া দুই বাহু দিয়া অন্নপূর্ণার গলা জড়াইয়া ধরিয়া বলিল, একটা গল্প বল না দিদি ! অন্নপূর্ণ রাগিয়া বলিলেন, যা, সরে যা।