বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se न्विन्ट्र्द्ध८ध्व्र्टe এতদিন একটা কেন, চারটে পাশ ক’রে ফেলতো। শুধু মুখপোড়া মাষ্টারের জন্যেই হচ্ছে না। তার সর্বনাশ হোক, বাছাকে সে যে কি বিষ-নজরেই দেখেছে, তা সেই জানো! ওকে কি তুলে দিচ্চে ? দিচ্চে না।” হিংসে ক’রে বছরের পর বছর একটা কেলাসেই ফেলে রেখেচে । বিন্দু বিস্মিত হইয়া কহিল, কৈ এরকম তা হয় না। এলোকেশী বলিলেন, হচ্চে, আবার হয় না । মাষ্টারগুলো সব একজোট হয়ে ঘুষ চায়,আমি গরীব মানুষ, ঘুষের টাকা কোথা থেকে যোগাই বল ত ? বিন্দু চুপ করিয়া রহিল, অন্নপূর্ণ আন্তরিক দুঃখিত হইয়া বলিলেন, এমন ক’রে কি কখন মানুষের পিছন লাগতে আছে ? সেটা কি ভাল কাজ ? কিন্তু আমাদের এখানে ও-সব নেই। আমাদের অমূল্য ত ফি বছর ভাল ভাল প্ৰাইজ বই ঘরে আনে, কিন্তু কখখন ঘুষ-টুষ দিতে হয়না। এই সময় অমূল্য কোথা হইতে আসিয়া আন্তে আস্তে তাহার ছোটমারি কোলে গিয়া বসিল । আসিয়াই গলা ধরিয়া কানে কানে বলিল, কালি রবিবার, ছোটমা, আজি মাষ্টারমশায়কে যেতে বলে দাও না । বিন্দু হাসিয়া বলিল, এই ছেলেটি দেখােচ। ঠাকুরবি, এটি গল্প পেলে আর উঠবে না-কদম, মাষ্টারমশাইকে বলে দে, অমূল্য আজ আর

  • एव ना ।

নরেন আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, ও কি রে অমূল্য, অত বড় ছেলে, এখনও মেয়েমানুষের কোলে গিয়ে বসিস ? বিন্দু হাসিয়া বলিল, শুধু এই বুঝি ? এখনও রাত্তিরেঅমূল্য ব্যাকুল হইয় তাহার মুখে হাত চাপা দিয়া বলিল, ব’লো না ছোটমা, ব’লো না! বিন্দু বলিল না, কিন্তু অন্নপূর্ণ বলিয়া দিলেন। বলিলেন, এখনো ও রাত্তিরে ছোটমার কাছে শোয় ।