যাদব মুখুয্যে ও মাধব মুখুয্যে যে সহোদর ছিলেন না, সে কথা নিজেরা ত ভুলিয়াই ছিলেন, বাহিরের লোকও ভুলিয়াছিল। দরিদ্র যাদব অনেক কষ্টে ছোটভাই মাধবকে আইন পাশ করাইয়াছিলেন এবং বহু চেষ্টায় ধনাঢ্য জমিদারের একমাত্ৰ সন্তান বিন্দুবাসিনীকে ভ্ৰাতৃবধুরূপে ঘরে আনিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। বিন্দুবাসিনী অসামান্য রূপসী । প্ৰথম যেদিন সে এই অতুল রূপ ও দশ সহস্র টাকার কাগজ লইয়া ঘর করিতে আসিয়াছিল সেদিন বড়বে। অন্নপূর্ণার চােখে আনন্দাশ্রু বহিয়াছিল । বাড়ীতে শাশুড়ী-ননদ ছিল না, তিনিই ছিলেন গৃহিণী। ছোটবন্ধ মুখখানি তুলিয়া ধরিয়া প্ৰতিবাসিনীদের কাছে সগৰ্বে বলিয়াছিলেন, বৌ আনতে হয় তা এমনি! একেবারে লক্ষ্মীর প্রতিমা । কিন্তু দুইদি র্তাহার এ ভুল ভাঙিল। দুইদিনেই টের পাইলেন, ছোটবীে যে ওজনে নিয়াছে, তাহার চর্তুগুৰ্ণ অহঙ্কার-অভিমানও সঙ্গে আনি বীে স্বামীকে নিভৃতে ডাকিযা বলিলেন, হঁ। গা, রূৰ্ণ লি দেখে বৌ ঘরে আনলে, কিন্তু এ যে কেউটে সাপ Fথাটা বিশ্বাস করিলেন না। মাথা চুলকাইয়া বার, করিয়া কাছারী চলিয়া গেলেন ।
পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪
অবয়ব