পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ps) न्विन्ट्रद्ध <ड्ट्ड्न সে রাত্রে অনেক ডাকাডাকির পর বিন্দু খাইতে বসিয়া কোন মতেই হাত মুখে তুলিতে পারিল না, শেষে অসুখ করিতেছে বলিয়া উঠিয়া গেল। পরদিনও প্ৰায় উপবাস করিয়া পড়িয়া রহিল, অথচ কাহাকেও কোন কথা বলিতেও পারিল না, একটা উপায়ও খুজিয়া পাইল না। তাহার কেবলি ভযা করিতে লাগিল, পাছে কথা কহিলেই তাহার নিজের অপরাধ আরও বাড়িয়া যায়। অপরাহুে স্বামীর আহারের সময় অভ্যাস মত কাছে গিয়া বসিয়া অন্যদিকে চাহিয়া রহিল। কোনরূপ ভোজ্য পদার্থের দিকে কাল হইতে সে চাহিয়া দেখিতেও পারিল না। ঘরে বাতি জলিতেছে, মাধব নিমীলিত-চােখে চুপ করিয়া পড়িয়াছিল, বিন্দু আসিয়া পায়ের কাছে বসিল । মাধব চাহিয়া দেখিয়া বলিল, কি ? বিন্দু নতমুখে স্বামীর পায়ের একটা আঙুলের নখ খুঁটিতে লাগিল। মাধব স্ত্রীর মনের কথাটা অনুমান করিয়া লইয়া আৰ্দ্ধ হইয়া বলিল, আমি সমস্তই বুঝি বিন্দু, কিন্তু আমার কাছে কঁদিলে কি হবে। তার কাছে যাও । বিন্দু সত্যই কঁাদিতেছিল, বলিল, তুমি যাও। আমি গিয়ে তোমার কথা বলব, দাদা শুনতে পাবেন না ? বিন্দু সে কথার জবাব না দিয়া বলিল, আমি ত বলচি আমার দোষ হয়েচে-আমি ঘাট মানচি, তুমি তাদের বল গে! আমি পাবুব না, বলিয়া মাধব পােশ ফিরিয়া শুইল । বিন্দু আরও কতক্ষণ আশা করিয়া বসিয়া রহিল, কিন্তু মাধব কোন কথাই আর যখন বলিল না, তখন সে ধীরে ধীরে উঠিয়া গেল। স্বামীর ব্যবহারে তাহার বুকের এক প্ৰান্ত হইতে অপরপ্রান্ত পৰ্যন্ত একটা প্ৰস্তুরকঠিন ধিক্কার যোজন-ব্যাপী পৰ্ব্বতের মত এক নিমেষের মধ্যে পরিব্যাপ্ত হইয়া গেল। আজ সে নিঃসংশয়ে বুঝিল, তাহাকে সবাই ত্যাগ করিয়াছে