বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विन्ट्रकूझ ८छटख्न বিন্দু বলিল, দিদিকে প্ৰণাম কর। ত বাবা! অমূল্য জননীকে প্ৰণাম করিল। তাহার পায়ে জুতা নাই, মোজা নাই, পরণে নানাবিধ বিলাতী। পোষাক নাই—অন্নপূর্ণ এই অপরূপ সাজ দেখিয়া হাসিয়া বলিলেন, এতও তোর আসে ছোটবীে ! ছেলে বুঝি পড়তে যাচ্ছে ? বিন্দু হাসিমুখে বলিল, হঁ, গঙ্গা পণ্ডিতের পাঠশালে পাঠিয়ে দিচ্চি। আশীৰ্বাদ কর দিদি, আজকের দিন যেন ওর সার্থক হয়। চাকরের দিকে ফিরিয়া চাহিয়া বলিলভৈরব, পণ্ডিতমশাইকে আমার নাম ক’রে বিশেষ ক’রে ব’লে দিস, ছেলেকে আমার যেন কেউ মারধোৱা না করে। দিদি, এই পাঁচটা টাকা ধর, বেশ ক’রে একখানি সিদে সাজিয়ে টাকা ক'টি দিয়ে কদমের হাতে পাঠশালায় পাঠিয়ে দাও । বলিয়া সে গভীর স্নেহে চুমা খাইয়া ছেলেকে কোলে তুলিয়া লইয়া bलिध coॉल । অন্নপূর্ণার দুই চোখে অশ্রু উচ্ছসিত হইয়া উঠিল; তিনি বামুনঠাকরুণকে উদ্দেশ করিয়া বলিলেন, ছেলে নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। তবু পেটে ধরে নি—ত হ’লে না জানি ও কি কবুত। পাচিক কহিল, সে জন্যই ভগবান বোধ করি দিলেন না, আঠারউনিশ বছর বয়স হ’ল- কথাটা শেষ হইতে পাইল না । ছোটবৌ এক ফিরিয়া আসিয়া বলিল, দিদি, বঠ ঠাকুরকে ব’লে আমাদের বাড়ীর সামনে একটা পাঠশালা ক’রে দেওয়া যায় না ? আমি সমস্ত খরচ দেব । অন্নপূর্ণ হাসিয়া ফেলিলেন। বললেন, এখনাে সে দু’পা যায় নি। ছোটবে, এর মধ্যেই তোর মতলব ঘুরে গেল ? না হয়, তুইও যা না, পাঠশালায় গিয়ে ব’সে থাকিবি ।