বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

te রামেৱ সুমভি সে তৎক্ষণাৎ অপ্ৰতিভ হইয়া তাহার দুই বাহু দিয়া মাতৃসমা বড়বন্ধুর গলা জডাইয়া ধরিয়া বুকের মধ্যে মুখ লুকাইয়া বলিল, এ আমি জানি। কিন্তু ফেলে দিলে আর দোষ নেই, না বৌদি ? নারায়ণী তাহার মাথাটা বুকের মধ্যে চাপিয়া ধরিয়া বলিলেন, না, আর দোষ নেই। র্তাহার চোখ দুটি জলে ভিজিযা উঠিল। মৃদুকণ্ঠে বলিলেন, হা রে রাম, আমি ম’রে গেলে তুই কি করিস ? রাম সবেগে মাথা নাডিয়া বলিল, যা, বলতে নেই। নারায়ণী অলক্ষ্যে চোখের জল মুছিযা ফেলিয়া বলিলেন, বুড়ো হলুম মরুব না রে! এবারে রাম পরিহাস বুঝিতে পারিয়া মুখ তুলিয়া সহস্যে বলিল, তুমি বুডো বুঝি ? একটি দাত ও পড়ে নি, একটি চুলও পাকে নি! নারায়ণী বলিলেন, চুল না পাকতেই আমি নদীর জলে একদিন ডুবে মৰ্বব। নাইতে যাব। আর ফিরে আসব না! কেন, বৌদি ? তোর জ্বালায়। আমার মাকে তুই দেখতে পারিস নে, দিনরাত ঝগড়া করিস, সেই দিন তোরা টের পাবি, যে দিন আমি আর ফিরুব না। কথাটা রাম বিশ্বাস করিল না বটে, তথাপি মনে মনে শঙ্কিত হইয়া BDDS DBBDS DD BDB DB DDD DDS DDDDS D D BD BDDD আমন ক’রে বলে ? বললেই বা । উনি আমার মা, তোরও গুরুজন। আমাকে যেমন তুই ভালবাসিস, ওঁকেও তেমনি ভালবাসবি। রাম আবার বৌদিদির বুকের মধ্যে মুখ লুকাইল। এইখানে মুখ রাখিয়া সে এই দীর্ঘ তের বৎসর বাড়িয়া উঠিয়াছে, কেমন করিয়া সে এত বড় মিথ্যা কথা মুখে আনিবে! এ যে তাহার পক্ষে একেবারেই অসাধ্য! নারায়ণী আৰ্দ্ৰকণ্ঠে বলিলেন, মুখ লুকালে কি হবে, বল।