পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপিন বুঝিতে না পারিয়া বলিল, উপরিভাব কি ব্যাপার ? দুই তিন জনে বুঝাইয়া দিবার উৎসাহে একসঙ্গে বলিল, আজ্ঞে, এই দিষ্টি হয়েছে আর কি, অপদেবতার দিষ্টি হয়েছে। --ভূতে পেয়েছে ? -छृङठं * & न। किँक् । निर्छि ८८छ् ज्ञद्र दिक् । বিপিনের যতটুকু ডাক্তারি-বিন্যা এই কয়দিন বই পড়িয়া হইয়াছে, তাঙ্গারই বলে সে বলিল, ওর ঘোর জ্বর, বিকার হয়েছে। লোক চিনতে পারছে না, চোখ লাল, মাথায় এলে ঢাল । উপরিভাব-টাব বাজে, ওকে ডাক্তার দেখাও, নইলে বাচার্বে না । ফকিরের কৰ্ম্ম নয়। এ সব। উহাদের মধ্যে একজন বলিল, এ দিগবে বরাবর থেকে ফকির সায়েব ঝাড়ান-ফাড়ান, তেলপাড়া দিয়েই রোগ সারান বাৰু। ডাক্তার কোথায় এখানে ? ডাক্তার আছে সেই রামনগরের কাটে, নয়তো সেই চাকদার বাজাবে। আর এক আছে। রাণাঘাটে । দু কোশ রাস্তু। এক মুঠো টাকা খরচ ক’রে কি গরিবণ্ডরবো লোকে ডাক্তার আনতি পারে ? ܔ গদাধরপুর হইতে বিপিন যখন বাহির গুইয়া ফাকা মাঠে পড়িল, তখ* সন্ধ্য; উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে । অন্ধকার রাত্রি, একটু পরেই চাদ উঠিৱে । চাদ উঠার জন্যই সে এতক্ষণ অপেক্ষা করিতেছিল। মাঠে জনপ্ৰাণী নাই। অপূৰ্ব্ব তারাভিরা রাত্রি । আকাশেব দিকে বিপিনের নজর পড়িত না, যদি চান্দ কখন ওঠে, ইহা দেখিবার প্রয়োজন তাঙ্গার না হইত। কিন্তু আকাশের দিকে চাহিয়া, নক্ষত্ৰভরা অন্ধকার আকাশের দৃশ্য দেখিয়া জীবনে এই বোধ হয় প্রথম বিপিনের বড়। ভাল লাগিল ।