পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেমন নিস্তান্ধতা, কেমন একটা রহস্যময় ভাব রান্ত্রির এই নিস্তািন্ধতার - এত ভাল লাগিব।ার প্রধান কারণ, এই সময় মানীর কথা তাহার মনে

  • छिल ।

আজি যে এই সব দরিদ্র রোগপীড়িত মানুষদের সে চোখের উপর অজ্ঞতার ফলে মরণের পথে অগ্রসর হইতে দেখিয়া আসিল, মানীই তাহাকে পথ দেখাইয়া বলিয়া দিয়াছে, ইহাদিগকে মৃত্যুর হাত হইতে কি করিয়া বঁাচাইতে হইবে । ডাক্তার নাই, ঔষধ নাই, সৎ পরামর্শ দিবার মানুষ নাই, কঠিন সান্ত্রিপাতিক বিকারের রোগী, সম্পূর্ণ অসহায। জলপড়া, তেলপাড়ার চিকিৎসা চলিতেছে । ওদিকে কামিনী-মাসীর ওই अदशुi, उशद्ध डोंक्षेद्ध ब्र ७छे अवक्षु । মানী তাহাকে পথ দেখাইয়া দিয়াছে, যে পথে গেলে অর্থ ও পুণ্য দুইই মিলিবে । গরিব প্রজাদের প্রতি অত্যাচার করিয়া, তাঙ্গাদের রক্ত চুষিয়া তাঙ্কার বাবা এবং মানীব বাবা দুইজনেই ফুলিযা ফাপি যা মোটা হইয়াছেন বটে, কিন্তু তেঁহাদেব ছেলেমেয়েব সে পাপপথে চলিবে তো নাইই, বরং পিতৃদেবের কৃতকৰ্ম্মের প্রায়শ্চিত্ত করিবে নিজেদের দিয়া । মানী তাহাকে জীবনে আলো দেখাইয়াছে। একটি অদ্ভুত মনের ভাবের সহিত বিপিনেব পরিচয় ঘটিল আজি হঠাৎ এক মাঠের মধ্যে । মানীর সঙ্গে ভালবাসার যে সম্পর্ক তাতার গড়িয়া উঠিছে, এতদিন অন্তত বিপিনের মনের দিক হইতে তাহা দেহসম্পর্কহীন ছিল না, মনে মনে মানীর দেহকে সে বাদ দিতে পারে নাই। বিপিনের স্বভাবই তা নয়, সুন্ম মানসিক স্তরের আদানপ্ৰদান তাহার ধাতুগত নয়। মানীর সম্বন্ধে এ আশা বিপিন কখনও ছাড়ে নাই যে, একদিন না একদিন সে মানীকে নামাইবে তাহার নিজস্ব নিম্নস্তরে । সুবিধা সুযোগ এখন -নাই বলিয়া ভবিষ্যতেও কি ঘটিবে না ? S ©ኪጋ*