পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার বুক চিপ টিপ করিতেছিল। কপাল ঘামিয়া উঠিয়াছে। ভয় না লজ্জা, কে জানে । বাড়ি আসিয়া দিদিমাকে ( মা তাহার আগের বছর মারা গিয়াছিল ) বলিল, আইমা, ওই বুঝি কাছারির নতুন নায়েব ? যাচ্ছিলেন। এখান দিয়ে, আমার কাছে বেগুন দেখে বললেন, বেগুন বিক্রির ? কি জাত, আইমা ? তাহার দিদিমা বলিল, বামুন যে, তাও জান না পোড়ারমুখ মেয়ে । চাইলেন। কিনতে, বেগুন কটা দিয়ে দিলেই হ’ত । আমার তো মনে থাকে না, তোর বাবাকে বেগুন দিয়ে আসতে বলিস কাছারিতে । बiभून भाश् । এক চুপড়ি ভাল কচি বেগুন ও এক ঘটি দুধ সে-ই কাছারিতে দিয়া আসিয়াছিল। পরদিন বিকালবেল বাবার সঙ্গে গিয়াছিল। কিন্তু হায়! সে প্ৰেমমুগ্ধা তরুণী পল্লীবালিকা আর নাই, সে সুপুরুষ বিনোদ চাটুজ্জে নায়েববাবুও আর নাই । অনেক কালের কথা। এ সব । সেকালের কথা । 臀 豪 蠍 বিপিন পড়িল মহা মুস্কিলে । কামিনী যখন মারা গেল, তখন রাত দেড়টার কম নয়। মৃতদেহ 'কলিয়াই বা কোথায় সে যায় এখন ? বাধ্য হইয়া ভোর পর্য্যন্ত অপেক্ষা ਕਿ হইল। বৃদ্ধার মৃতদেহ এ ভাবে ফেলিয়া সে যাইতে পরিবে না, মনে মনে সে মায়ের মতই ভালবাসিত কামিনীকে । ভোর হইল । কাক কোকিল ডাকিয়া উঠিতেই বিপিন গিয়া ডাকহঁক করিয়া লোকজন উঠাইল। পাচু কাল অনেক রাত্রে রাণাঘাট হইতে কমললেবু লইয়া ফিরিয়াছিল, সকালে দিতে আসিতেছিল, পথে দেখা । তাহাকে পাঠাইয়া ওপাড়া হইতে গোয়ালার পুরোহিত বামনদাস চক্কত্তিকে δ. Σ 9