বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খুব বেশি নড়াচড়া করিতে পারেন না। যদিও শরীর এখনও বেশ বলিষ্ঠ । এক সময়ে দুর্দান্ত জমিদার বলিযা ইহার যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। অনাদি চৌধুৰী বলিলেন, খুকী আসছে বুধবারে। এদিকে ধোপাখালি কাছারি। আজি দুমাস বন্ধ। একটি পয়সা আদায়-তাশিল নেই। তোমার কােণ্ডজ্ঞানটা যে কি, তাও বুঝি নে ! তোমার বাবাব আমলে এই মহল থেকে তিনশো টাকা ফি মাসে আদায় ছিল আর এখন সেই জায়গায় পঞ্চাশ ষাট টাকা আদায় হয় না । তুমি কাল সকালেই চ’লে যাও কাছারিতে । মঙ্গলবার রাতের মধ্যে আমার চল্লিশটা টাকা চাইই, নইলে মান যাবে, জামাই আসছে। এতকাল পরে, কি মনে করবে ? ख्ां शं व्रता दि' ८िञ्च ? জমিদার-গৃহিণী বলিলেন, আব্ব আসবার সময় কিছু কুমড়ো বেগুন, থোড় কিংবা মোচা আর যদি পাের ভাল মাছ একটা রঘুদের পুকুর থেকে, আর কিছু শাকশক্তি আনবে। ঘানি-ভাঙানো সর্ষে তেল এন আড়াই সের, আর এক ভঁাড় আখের গুড় ধাদি পাও বিপিন মনে মনে হাসিল । জমিদাব-গৃহিণী যে এ সমস্ত অ্যানিতে বলিতেছেন, সবই বিনামূল্যে প্ৰজা ঠেঙাইয। নতুবা পয়সা ফেলিলে জিনিসের অভাব কি ? “যদি পাও” কথার মানেই ঠাইল “যদি বিনামূল্যে পাও”-এমন ছোট নজর, আর এমন কৃপণ স্বভাব ! পরের জিনিস এমনই যোগাইতে পার, খুব খুশি । দায় পড়িয়াছে বিপিনের পলের শাপমন্তি কুড়াইয়া তাহদের জন্যে বেসাতি আনিবার, এমনই তো ছোট ভাইট হাসপাতালে পন্ডিয়া শুষিতে ছে। এই সব জন্যেই এখানকার চাকুরির অন্ন তাহান্ন গল দিয়া নামে না।